বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- শচীন টেন্ডুলকার ! কোটি কোটি ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদস্পন্দন। বিশ্বকাপ জয়ী ১০০ সেঞ্চুরির মালিক। কিন্তু এই বিশ্বকাপ জেতা, ১০০ সেঞ্চুরি করা এই সব কি সম্ভব হত যদি স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস না থাকতেন ? অবাক হচ্ছেন তো ! কিন্তু, এটাই যে সত্যি। আসুন জেনে নিই কি হয়েছিল ২০০৭ এ ।
সময়টা ভারতীও ক্রিকেট এর অন্যতম কালো অধ্যায় এর বলতে পারেন। গ্রেগ চ্যাপেল তখন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট দলের কোচ। গ্রেগ চ্যাপেল সম্বন্ধে ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানরা যথেষ্ট শুনছেন। ২০০৭ এ ভারত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়ে দেশে ফিরে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে। শচীন টেন্ডুলকার সেই সময়টাকে নিজের ক্যারিয়ারের সবথেকে কঠিনতম সময় বলেছিলেন। বিশ্বকাপের এইভাবে হারের পর শচীন অবসর নেওয়ার কথা প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন।
কিন্ত সেই সময় ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ড থেকে শচীন টেন্ডুলকার এর মোবাইল ফোনে কল করেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। ঠিক ৪৫ মিনিট কথা হয় ক্রিকেট ইতিহাসের এই দুই মহাতারকার মধ্যে। কল করে শচীনকে স্যার ভিভ বলেন “তোমার মধ্যে এখনো অনেক ক্রিকেট বাকি আছে, এখনই খেলা ছেড়ো না।” এই নিয়ে শচীন তার নিজের অটোবায়োগ্রাফি “প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে” তেও লিখেছেন।
পরে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ইভেন্টে এসে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস এর সাথে শচীন টেন্ডুলকার একই স্টেজে দাঁড়িয়ে বলেন “স্যার ভিভ আমার ব্যাটিং হিরো। ২০০৭ বিশ্বকাপ আমার ক্যারিয়ারের হয়তো সবথেকে খারাপ সময় ছিল। তখন আমার মনে হয়েছিল আমি আর ক্রিকেট খেলতে চাই না। যেই খেলা আমাকে এত ভালো দিন দেখিয়েছে সেই খেলায় আজ আমাকে এত খারাপ সময় দেখাচ্ছে। তখন ভারতীয় ক্রিকেটে, ক্রিকেট ছাড়াও আরো অনেক কিছু হচ্ছিল যেটা পরিবর্তন না হলে আমার আর খেলার ইচ্ছা ছিল না। আমি ৯০ শতাংশ ঠিক করে ফেলেছিলাম আর আমি ক্রিকেট খেলব না। ঠিক সেই সময়ে আমি একটি ফোন পাই সদুর ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ড থেকে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস এর এবং স্যার ভিভ আমাকে তখন বলেন ‘আমি জানি তুমি খেলা ছাড়তে চাইছ, কিন্তু তা করো না, এখনো তোমার মধ্যে অনেক ক্রিকেট বাকি আছে।’ এটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের ছিল এবং তার কারণেই আমি সেই সময় আমার অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসি।”