জয় শ্রীরাম নিয়ে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে । কিছুদিন আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, জয় শ্রী রাম প্রহারের ভাষা । আবার গত বুধবার 49 জন বুদ্ধিজীবী ‘অসহিষ্ণুতা’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন । এই বুদ্ধিজীবীদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের নব্য সংসদ নুসরাত জাহান ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন ।
টুইটারে তিনি লিখেছেন গণপিটুনির ঘটনা “শ্রী রামের” ধ্বনিকে রণ হুংকারে পরিণত করেছে । গণপিটুনি জন্য দায়ী দুষ্কৃতীরা আমাদের দেশের শত্রু” । শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি । তিনি আরও লিখেছেন, “আমাদের দেশে যারা অবিচারের শিকার, তাদের নাম তমিজ আনসারী, মোহাম্মদ খালেক পেহেলু খান ……… গত বছর সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে এসব বন্ধ করতে উদ্যোগী হতে বলেছিল । কিন্তু সরকার নীরব রয়েছে ।”
নুসরতের টুইট করার পরেই দিল্লিতে পাল্টা মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, “রাজ্যে গণপিটুনি বন্ধ করতে আগে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি লিখুন নুসরত ।” রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরো বলেন, “নুসরাত জাহানকে বলবো, আপনি প্রথমে আপনার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখুন, যাতে আপনার এলাকায় গণপিটুনি বন্ধ হয় । সন্দেশখালিতে আমাদের চারজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে । এখনো দুজনের দেহ পাওয়া যায়নি । আগে মুখ্যমন্ত্রী কে এসব বন্ধ করতে বলুন । সে সৎ সাহস কি আছে আপনার ? সবচেয়ে বেশি গণপিটুনি ঘটনা বাংলাতেই ঘটছে ।”
দিলীপ বাবু আরো বলেন, “আমাদের বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংখ্যালঘু, তপশিলি জাতি -উপজাতি সব সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন । তাদের মৃত্যুর দাম কে দেবে ? আমরা তাই তাদের পরিজনদের দিল্লি নিয়ে এসেছি । দেশের মানুষ জানুক বাংলায় কি অবস্থা ?” পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এরা সব তাবেদার, পরজীবী । দেশকে লুটে খেয়েছেন, এখন লিখছেন । আমরা এদের মুখোশ খুলে দেবো । দেশজুড়ে এদের বিরুদ্ধে সেমিনার করব। যেখানে যাবে ওদের বিরুদ্ধে ধরনা দেব । বাংলার এসব বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার হব ।”