কাশ্মীরে 370 ধারা বিলোপ এর পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ইমরান খানের পাকিস্তান কোন ভাবেই সেটা মেনে নিতে পারছে না । বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে তারা দাবি করছে, এটা সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় । জম্মু কাশ্মীর কোন ভাবেই ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে না ।
পাকিস্তানের বন্ধুরাষ্ট্র চীন অনুরোধ করার ফলে জম্বু কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় রাজি হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ । যদিও কোন রকম প্রস্তাব উত্থাপন ছাড়াই শেষ হয় ওই বৈঠক । সেখানেও পাকিস্তান বেশ বড়সড় ধাক্কা খায় । এরপর আমেরিকা পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি । এবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন “ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা তখনই সম্ভব, যখন তারা সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করবে।”
এই বছরই হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট । সেখানে এক জনসভায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুংকার ছাড়লেন, “ইসলামাবাদের সঙ্গে যদি দিল্লিকে আলোচনাতে বসতে হয়, তাহলে সেটা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নয়।”
দেশের মধ্যে বিরোধী পক্ষ 370 ধারা বিলুপ্তিকরণের জন্য বিরোধিতা করেছে । বস্তুত কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে চাপে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেসও। হরিয়ানার প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র সিং হুডা এ দিন বলেন, “আমার দল ও আমার অনেক সহকর্মী ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করছে। আমার মনে হয় তাতে কংগ্রেসের সমর্থন আরও ক্ষয় হচ্ছে।” রোহতকের সমাবেশ থেকে তিনি বলেন, “যখন দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের প্রশ্ন আসে, তখন রাজনীতির উর্দ্ধে উঠতে হয়। সেখানে কোনও আপোস চলে না।” যদিও অনেকের মতে, রাজনাথ যা বলছেন, এ সব কিছুই হবে না। এ সবটাই আসলে রাজনৈতিক হাওয়া গরম রাখার কৌশল।