বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান অনেক কিছুর উপর ভারতের উপর নির্ভরশীল । ভারত সেই সমস্ত জিনিসের যোগান বন্ধ করে দিলে অথই জলে পড়বে পাকিস্তান সে বিষয়ে সন্দেহ নেই । দু’দেশের মধ্যে যতই বিবাদ থাকুক না কেন, এখনও ভারত থেকে পাকিস্তানে জল যায় । কিন্তু এবার ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, এবার থেকে পাকিস্তানে জল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে । সেই জল হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের চাষিরা পাবেন বলে জানালেন মোদী ।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধান সভা নির্বাচন শুরু হবে । প্রচণ্ড ব্যাস্ততার মধ্যে কাটাচ্ছে সমস্ত দল ।প্রধান মন্ত্রী বিধান সভা ভোটের প্রাচারে হরিয়ানা গিয়েছিলেন । হরিয়ানায় ভোট প্রচারে গিয়ে সেখানকার চাষিদের জন্য এই সুখবর শোনালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
মঙ্গলবার হরিয়ানার হিসারে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বলেন, “৭০ বছর ধরে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের চাষিদের ভাগের জল চলে গিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু মোদী সেটা আটকে দেবে। আপনাদের ঘরে পৌঁছবে ওই জল। ওই জল হরিয়ানা ও পঞ্জাবের কৃষকদের। আপনাদের জন্য লড়াই করছি।” শুধু তাই নয় সেখানেও কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদী । কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে, কংগ্রেসকে এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যখন দেশ কোনও সম্মান পায়, কংগ্রেস তাকে নিয়ে কটাক্ষ করে। এমনকি জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়েও ওদের সমস্যা। নির্বাচনে কেউ জিতুক-হারুক রাজনীতি চলবেই। কিন্তু কতদিন আমরা সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে রাজনীতি করব? যতদিন না তাদের হাতে আমাদের দেশের জওয়ানরা শহিদ হয়?”
জানা গেছে, ভারত থেকে জল যাতে পাকিস্তানে না যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। সিন্ধু থেকে জল পাকিস্তানে যায় । কেন্দ্র থেকে, সিন্ধুর জল আটকানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সিন্ধুর অতিরিক্ত জলকে রাভি নদীতে ফেলে জলের সমস্যা মেটানো যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে ।
ভারতের এই চিন্তাভাবনা নিয়ে পাকিস্তানও যে কিছু ভাবছে না, এমনটা নয় । জল দেওয়া বন্ধ করা হলে তারা যে চুপচাপ বসে থাকবে না, সেটা জানিয়েছে । এই ধরনের সমস্যা হলে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই অভিযোগ জানিয়েছে ইসলামাবাদ ।
শতদ্রু নদীর জল নিয়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে বিবাদ অনেক দিন ধরে চলে আসছে । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ফলে, নির্বাচনী প্রচারে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন মোদী। কারণ দীর্ঘ দিনের বিবাদ যদি এইভাবে মেটানো সম্ভব হয় তাহলে সেখানকার জন সমর্থন মোদীর ঝুলিতে জমা পড়বে । এই দুই রাজ্যে জলসঙ্কট মেটানোর আশ্বাস দিয়ে দুই রাজ্যের মানুষেরই মন জয় করার চেষ্টা করলেন মোদী ।