পরকীয়া প্রেমের বলি হল দিনাপুর জেলার বিরল উপজলার ৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের ফরহাদুল। গত ৯ আগস্ট শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরহাদুর ৪ নং ওয়ার্ডের টিকড়িপাড়ার মোজাহার আলীর ছেলে।
সকালে নিহত ফরহাদুলের স্ত্রীর কান্নাকাটি শুনে এলাকাবাসী তার বাড়িতে গেলে ফরহাদুলের স্ত্রী জানায় তার স্বামী মারা গেছে। নিহতের গলায় ক্ষত চিহ্ন দেখে এলাকাবাসী জানতে চাইলে স্ত্রী তৈয়বা কোন সদুত্তর দিতে পারে না। স্ত্রী তৈয়বা বলেন, রাতে সে (স্বামী) বাড়িতে ফেরে। রাতে খাওয়ার পর ঘুমাতে যায়। সকালে দেখি সে কোনো কথা বলে না। কিন্তু কীভাবে তার স্বামী মারা গেলেন তা বলতে পারেননি স্ত্রী তৈয়বা।
বিরল থানার সূত্রে জানা যায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবংপ্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার তাইয়েবা তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশটির সুরতহাল শেষ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ফরহাদুল ও তৈয়বার ঘরে তোজাম্মেল নামে ৪ বছরের এক পুত্র সন্তান আছে। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের বাড়িতে অপরিচিত এক পুরুষ যাতায়াত করতো। তবে এলাকার কেউ তাকে চিনতো না।
জানা যায়, একই গ্রামের সোহেলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তৈয়বা। তার স্বামী জেনে যাওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে তাদের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্ত্রী তৈয়বা বেগম ও তার প্রেমিক মিলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামী ফরহাদুল ইসলামকে হত্যা করে। পরে সকালে লাশের সামনে বসে অঝোরে কান্নাকাটি করে প্রতিবেশীদের জানায় তার স্বামী মারা গেছে। এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ দেখে স্ত্রী তৈয়বা বেগমকে আটক করে।
তৈয়বার কথার জের ধরে রকেট নামে একজনকে আটক করা হয়েছে স্থানীয় থানার সূত্রে জানা যায়।