বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের পর থেকে রাজনীতির পালাবদল চলছে অবিরাম । শাসক গোষ্ঠী তৃণমূল নিজেদের গদি বাঁচিয়ে রাখলেও দলে ভাঙন শুরু হয়েছিল । সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছিল বিজেপির চাণক্য মুকুল রায় এবং তার পুত্রের এলাকা কাঁচরাপাড়াতে । দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছিল বিরোধী দল বিজেপিতে । ধিরে ধিরে অবশ্য মমতা ব্যানারজি রাশ নিজের হাতে নেবার চেষ্টা করছেন । কিছু কিছু তৃণমূল কর্মী দল ছাড়লেও আবার নিজেদের পুরাতন দলে ফিরে আসছেন । এবার খোদ মুকুল রায়ের এলাকা কাঁচরাপারাতেই ভাঙন ধরলো বিজেপিতে । শুক্রবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপারা পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন।
কাঁচরাপারার বিধায়ক এবং মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় অনেক জনপ্রিয় নেতা নিজের এলাকায় । বিশেষ করে মুকুল রায় এবং তাঁর পুত্রের হাত ধরে এই তৃণমূল কর্মীরা সবাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন । কিন্তু, এ যে রাজনীতি ! কখন কার মনে কি আসবে, সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারবে না । এবার সেই দলছুট তৃণমূল কর্মীরা বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অবজারভার সুবোধ অধিকারীর হাত ধরে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন । এক সাথে এতগুলি কর্মী ফের দল বদল করায় মুকুল-শুভ্রাংশু বেশ চাপে পড়বেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল ।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই বারাকপুর থেকে কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে তৃণমূল দলের ভাঙন স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল । কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সেই জায়গা থেকে ক্রমেই তৃণমূল নিজের জায়গা পুনরুদ্ধার করে শক্তি বৃদ্ধি করছে । আর তৃণমূলের পুনরায় এই শক্তি বৃদ্ধিতে সুবোধ অধিকারীর যে একটা গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না । কারন এবার খোদ মুকুল রায়ের এলাকায় পদ্ম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে ১০০ জন কর্মী । এবার আগামী দিন মুকুল রায় বা বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব কি পদ ক্ষেপ নেয় সেটা দেখার বিষয় ।
শতাধিক কর্মীকে ফিরিয়ে আনার পর, সুবোধ অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন কি ভাবে তৃণমূল স্তরে গিয়ে লড়াই করে দলকে শক্ত করা যায়। তার নীতি আদর্শ প্রতিফলিত হয়েছে তাই দল ফের শক্ত হচ্ছে আর আগামী দিনেও সারা বাংলা তথা সারা দেশে তা প্রতিফলিত হবে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবে না তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করবার জন্য সবাই একে একে তৃণমূলে যোগ দান করছেন।আর তাছাড়া যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা বলে ডেকে ছিলেন আবার সেই মা কেই গালি দিয়েছে অথচ যাকে আমরা মা বলি তাকে কখনই আমরা গালি দিতে পারি না। যে মাকে গালি দিতে পারে সে কখনই মানুষের হতে পারে না । আর এটা সবাই বুঝে গেছেন বলেই ঘরের ছেলের দল ছেরে একে একে তৃণমূলে যোগদান করে আমাদের হাত শক্ত করছেন।”