বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আগামী ১৫ই আগস্টে করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন বাজারে বের করার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে আইসিএমার (ICMR) । সেই হিসাবে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কার করে নয়া ইতিহাস গড়ার মুখে ভারত। কিন্তু ১৫ই আগস্টের মধ্যে ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল দিয়ে বাজারে ছাড়া নিয়ে ইতিমধ্যে সংশয় শুরু হয়েছে কিছু মহলে ।
তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে ভ্যাক্সিন ১৫ আগস্ট বাজারে ছাড়ার কথা বলা হচ্ছে সেটি হায়দরাবাদের কোম্পানি ‘ভারত বায়োটেকের’ তৈরি । জুলাই মাসেই সেই ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার মানব দেহে ট্রায়াল শুরু হবে। চলবে দু দফায় এই পরীক্ষা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ডিসিজিআই-এর ছাড়পত্রও মিলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেই বাজারে চলে আসতে পারে কোভ্যাক্সিন এমনটাই আশা করা হচ্ছে ।
এবার প্রশ্ন হল কেন বিশেষজ্ঞ মহল আইসিএমআর-এর আগামী আগস্ট মাস থেকেই এই টিকাকে বাজারজাত করার বা মানবদেহে সরাসরি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত হচ্ছেন ? সাধারন হিসাবে যেকোনও রোগের ক্ষেত্রেই প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাক্সিন আবিস্কার করতে অন্তত কয়েক মাস এবং কয়েক বছর লেগে যায়। ভ্যাক্সিন তৈরি একটি মাল্টি-ফেজ প্রক্রিয়া।
প্রথম ধাপে অল্পকিছু অংশগ্রহণকারীর উপর এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয় এবং দেখা হয় যে তা মানুষের জন্য নিরাপদ কিনা তা। এরপর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হয় কয়েকশো মানুষের উপর । চূড়ান্ত পর্যায়ে কয়েক হাজার লোকের উপর একটি নির্ধারিত সময়ে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়। আর এই শেষধাপের পরীক্ষা সম্পূর্ন হতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর লেগে যায় । সেক্ষেত্রে এত তাড়াতাড়ি কোনওরকম উচ্চপর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই করোনা প্রতিষেধক ব্যবহার করা বাস্তবে সম্ভব হবে কি ? আর যদি হয় তাহলে মানুষের উপর সেটি প্রয়োগ করার ফলে হিতে বিপরীত না হয়ে যায় !
এই বিষয়ে ডিবিটি ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্টট শাহিদ জামিল একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘সুরক্ষা, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কার্যকারিতা নির্ণয়ের জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে একটি ভ্যাকসিনের দ্রুত পরীক্ষা করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।’
তবে তথ্য থেকে জানা গেছে, শুক্রবারই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ জানিয়েছে যে, ১৫ আগস্টের মধ্যে প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন চালু করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ওই একই দিনে আমেদাবাদের কোম্পানি ‘জাইডাস ক্যাডিলা’ জানায় যে,তাদের কোম্পানির তৈরি টিকা মানবদেহে ফেজ-১ এবং ফেজ-২ এর ক্লিনিক্যালি পরীক্ষার জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই)অনুমোদন পেয়েছে।