বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশের অর্থনীতির হাল যে খুব একটা শক্ত ভিতের উপরে আছে সে কথা বলা যায় না । তবে এবারের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী তথা এসপিজির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক বাড়ানো হয়েছে । ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা খাতেও খরচের পরিমাণ বেড়েছে । পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বাজেটে আগের থেকেই বেশী বরাদ্দ করা হয়েছে এসপিজি খাতে খরচ ।
ভিভিআইপিদের জন্য দুই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রয়েছে ভারতে । একটি এসপিজি এবং অপরটি সিআরপিএফ নিরাপত্তা । সম্প্রতি নিরাপত্তা বিষয়ে লোকসভায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছেন ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান। তিনি জানতে চেয়েছেন যে দেশে এই মুহূর্তে কারা কারা এসপিজি ও কারা সিআরপিএফ নিরাপত্তা পান ? উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কৃষ্ণন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে একজনই এসপিজি নিরাপত্তা পান। তবে নাম না বললেও তিনি যে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে বিষয়ে সন্দেহ নেই । তবে, সিআরপিএফ কারা পান, সেই হিসেব দেননি তিনি। তবে জানিয়েছেন বর্তমানে দেশে ৫৬ জন ব্যক্তিকে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
চলতি বাজেটে এসপিজি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি (৫৯২.৫৫) টাকা । যদি হিসাব নিয়ে বসা যায় তাহলে প্রতি মাসে নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার জন্য খরচ ৪৯.৩৭ কোটি টাকা এবং দিনে ১.৬৪ কোটি টাকা । এবার যদি সময় কমিয়ে মিনিটে আনা যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে ১১৪৩০ টাকার কাছা কাছি খরচ হবে প্রতি মিনিটে । বর্তমানে সারা দেশে মাত্র একজন এসপিজি নিরাপত্তা পেলেও আগে মোট চারজন এই নিরাপত্তা পেতেন । তাদের মধ্যে সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর নাম ছিল ।
এসপিজি নিরাপত্তা আসলে কি ? ১৯৮৫ সালে তদানিন্তন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হলে ভারতে এসপিজি গঠন করা হয় । সাধারনভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করাই এই বাহিনীর মুল দায়িত্ব । তবে ১৯৯১-তে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করার পর পুরো পরিবারকেই এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া হয় । এছাড়া ১৯৯৯-তে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এসপিজি নিরাপত্তার বিষয়টি রিভিউ করা হয়। তন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাও, দেবে গৌড়া ও আইকে গুজরালের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০০৩ সালে বাজপেয়ী সরকার একটি নতুন আইন তৈরি করে, যাতে ১০ বছর অন্তর এই নিরাপত্তার মেয়াদ পুনর্বিবেচনা করা হয়। তবে একমাত্র বাজপেয়ীকে মৃত্যু পর্যন্ত এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।