বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দিনকাল মাছ মাংসের যা দাম বাড়ছে, তাতে সাধারন মধ্যবিত্ত বা গরীব মানুষের আমিষের যোগান দিতে ডিমের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে । আবার সবধরনের মানুষ কম বেশী ডিমের বিভিন্ন পদ পছন্দ করেন । কিন্তু ধরুন, অমলেট বা ডিম ভাজার জন্য একটা পাত্রে দু’চারতে ডিম ভাঙ্গার পর আচমকা একটা নষ্ট ডিম ভেঙ্গে দিলেন । এবার, সবটাই তো ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই । অথচ বাইরে থেকে দেখে একবারও মনে আসেনি ডিমটা নষ্ট । এবার ডিম না ভেঙ্গে কিভাবে বুঝবেন সেটি টাটকা না বাসী বা নষ্ট, আবার টাটকা হলেও কতখানি টাটকা ?
সামনেই আসছে গরমকাল । আর গরমে ডিম নষ্ট হয়ে যাবার প্রবণতা সব থেকে বেশী থাকে । এছাড়াও বাড়িতে অনেক দিন ধরে রেখে দিলেও ডিম নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে । এবার ধরুন বাজার থেকে বাড়িতে বেশ অনেকগুলি ডিম কিনে নিয়ে এলেন । কিন্তু সেগুলি ভাল কি না বুঝতে পারছেন না । কারণ খোসার ভেতরে ডিমের কুসুম এ সাদা অংশ খালি চোখে দেখা যায় না। তাই ডিম নষ্ট বাছাই করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
এবার কিছু টিপস আপনাদের কানে কানে জানিয়ে দিই । এগুলি জানা থাকলে অনায়াসেই বুঝে যাবেন ডিমের কি অবস্থা ।
টিপস- ১
প্রথমে ডিম ভাঙ্গার আগে কানের কাছে নিয়ে গিয়ে একটু ঝাকিয়ে দেখুন । যদি দেখেন ভিতরে শব্দ হচ্ছে তাহলে ধরে নিতে হবে ডিমটি টাটকা নয় । আর যদি কিছু না শুনতে পান, তাহলে বুঝবেন ডিমটি টাটকা এবং ভাল আছে ।
টিপস- ২
বাজারে কেনা ডিম কতখানি টাটকা সেটি দেখার জন্য আরও একটা পদ্ধতি আছে । ডিম টাটকা কিনা সেটি বোঝার জন্য একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে একটু লবণ মিশিয়ে দিন । এবার ডিমটি পরীক্ষার জন্য সেই জলে ফেলুন । যদি ডিমটি ডুবে যায় তাহলে ভাল, আর যদি ভেসে ওঠে তাহলে বুঝে নিতে হবে ডিমটি নষ্ট বা বাসী হয়ে গেছে ।
টিপস- ৩
এবার ফাটানোর বা ভেঙ্গে ফেলার পর কিভাবে বুঝবেন ডিম কতখানি টাটকা ? ফাটানোর পর যদি দেখেন ডিমের সাদা অংশ ঘন তাহলে বুঝবেন ডিম ভালো। ডিম যত পুরনো হয়, এই সাদা অংশ তত পাতলা হতে থাকে। যদি সাদা অংশে গোলাপি বা সবুজ রং বা বর্ণ দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন ডিমে ব্যাকটেরিয়া বাসা বেধেছে। একইভাবে কালো বা সবুজ দাগ দেখা গেলে তা ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের লক্ষণ।
টিপস- ৪
ডিম ভাঙ্গার আগে হাতের কাছে একটি প্লেট বা থালা বা সমান পাত্র নিন । এবার ডিমটি ফাটিয়ে দেখুন ।ফাটানোর পর যদি কুসুমের রঙ উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা হয় তাহলে বুঝতে হবে ডিমটি ভালই টাটকা । তবে ডিমের কুসুমের রং অনেক সময়ই মুরগিকে কী ধরনের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে। এছাড়া, যদি দেখা যায়, কুসুম গোলাকার হয়ে আছে এবং সহজে নড়ছে না, তাহলে বুঝবেন ডিম টাটকা। একইভাবে যদি কুসুম হালকা রঙের ও চ্যাপ্টা হয় এবং সহজে নড়াচড়া করে তাহলে বুঝবেন সেই ডিম অনেক দিনের বাসী ।