বাগেরহাটের জেলার কচুয়া উপজেলায় সেতু রানী কর্মকার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবার। গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গজালিয়া বাজার সংলগ্ন স্বামীর বাড়িতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিহত সেতু রানী কর্মকার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার চরকগাছিয়া গ্রামের সুজন কুমার কর্মকারের মেয়ে এবং গজালিয়া গ্রামের বাপ্পি কর্মকারের স্ত্রী।
নিহত সেতুর মামা মৃণাল কান্তি হাওলাদার বলেন, বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে সেতুর দেবর জয় কর্মকার সেতুকে মৃত অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আমাকে ফোন করে আমরা হাসপাতালে এসে সেতুকে মৃত পাই। ধারণা করছি সেতুকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে হাসপাতালে রেখে গেছে। তার গলায় হাতের ছাপ রয়েছে।
নিহত সেতুর ভাই সবুজ কুমার কর্মকার বলেন, তিন বছর পূর্বে বাপ্পি কর্মকারের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে বাপ্পি আমার বোনকে শারীরিক নিযাতন করে। যৌতুকের দাবিতে বলি সেতু রানী কর্মকার। তিন বছর পূর্বে বিয়ে হলেও সে তার যৌতুকের দাবি ভুলতে পারে নি।
বাগেরহাট মডেল থানার এসআই ফজলুল কবির বলেন, এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।