বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- বহুদিন ধরেই চলছে এনআরসি বিতর্ক। কিন্তু জানেন কি রাজ্যে এনআরসি চালু হলে হিন্দুদের ওপর এর কি প্রভাব পড়বে? তবে জেনে নিন। বেশ কিছুদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে এই শীতের মরসুমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হবে। আগামী ১৩ই ডিসেম্বর অব্দি এই অধিবেশন চালানো হবে। সর্বপ্রথম অসম রাজ্য দিয়েই শুরু করা হবে এই এনআরসি।

ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। যার ফলে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের অসমের নাগরিকত্ব নেই। এর মধ্যে ১২ লক্ষ জনই হিন্দু। অসমে হিন্দুর সংখ্যাই বেশী এবং ১২ লক্ষ হিন্দুর অস্তিত্ব বিপদের মুখে। ফলে এটি হিন্দুদের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়। এই কারনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এই এনআরসির জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষও আতঙ্কিত। কারন এনআরসি বিতর্কের প্রভাব তাদের ওপরও পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষই হিন্দু। যদিও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের দখলে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এনআরসি নিয়ে তীব্র বিরোধ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে বাংলায় যেসমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অবস্থিত তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেবে। বিভিন্ন ধর্মের লোকেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হবে, যা হতে দেবেন না তিনি।

উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মুল লক্ষ্য হল, ভারতের যে সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি আছে অর্থাৎ পাকিস্থান, আফগানিস্থান, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশগুলিতে অবস্থিত সমস্ত ধর্মীয় মানুষ যারা এদেশে আসবে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া। এছাড়াও যারা ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে এদেশে এসেছেন তাদের জন্যই এই আইন লাঘু করা হবে। তবে ১৯৫৫ সালের আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পেতে গেলে ভারতে টানা ১ বছর থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। শুধু তাই নয়, ১৪ বছরের মধ্যে টানা ১১ বছর ভারতে থাকতে হবে এমনটা নিয়ম করা হয়েছিল। তবে এই নিয়ম পাল্টে এবার ১১ বছরের জায়গায় ৬ বছর একটানা ভারতে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Payel Kumar is a News Writer at BongDunia. She has a little knowledge about journalism. She has worked with various news agencies in the previous years. She has done her graduation from West Bengal State University.

Leave A Reply