রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’র জেরে সারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়লেও হিন্দু-মুসলিম ভাতৃত্ব দেখা দিচ্ছে ভারতের বিভিন্ন জেলে বন্দীদের মধ্যে।
মুসলিম’দের ধর্মীয় রীতি-নীতি’গুলির মধ্যে অন্যতম হল পবিত্র রমজান মাস পালন। এই মাসে তারা সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়কাল পানাহার এবং যেকোনো প্রকার ভোগ-বিলাস থেকে নিজেদের বিরত রেখে রোজা বা উপবাস পালন করে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ জানায় যে, প্রতি বছর ভারতে হিন্দু বন্দীদের মধ্যে রোজা পালনের প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে ভারতের রাজধানী দিল্লী’র ‘তিহার’ জেলার কথা। গত বছর তিহারে হিন্দু রোজাপালনকারী’র সংখ্যা ছিল ৫৯, এবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫০ জনে।
এবছর তিহারের বিভিন্ন জেলের ১৬,৬৬৫ বন্দীর মধ্যে হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ২,৬৫৮ জন রোজা পালন করছে। এই সকল রোজা পালনকারীদের জন্য জেল কতৃপক্ষ নিত্য অনুকূল পরিবেশ এবং খাদ্যের ব্যবস্থা করছেন, তাদের হিসাবানুযায়ী গত বছরের তুলনায় এই বছর হিন্দু রোজাপালনকারী বন্দীর সংখ্যা ৩ শতাংশ বেড়েছে।
হিন্দু বন্দীদের রোজা পালনের ব্যাপারে জেল সুপার তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন একটি প্রতিবেদনে। তার মত অনুযায়ী কারাগারের মুসলমান বন্ধু বন্দির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য রোজা পালন করছে বহু হিন্দু। তিনি এও জানান যে শুধু হিন্দুরাই নয়, জেলে মুসলিম বন্দীদেরকেও অনেক সময় হিন্দুদের সাথে তাদের ধর্মীয় কার্যকলাপে সামিল হতে দেখেন তিনি।
শুধু দিল্লীর তিহারেই নয়, ভারতের বহু জেলেই বর্তমানে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হতে দেখা যাচ্ছে বলে জানান জেল সুপার।