বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার সিন্দপুরের ভয়ানক ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সকলে। ধর্ষিতার উপরে পৈশাচিক নির্যাতন সারা দেশের মানুষকে শিউরে উঠতে বাধ্য করেছিল । অবশেষে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হায়দরাবাদে গণধর্ষণ ও নারকীয় খুনে ধৃত চার ধর্ষক ।
মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এই তরুণীকে। অপরাধীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য গর্জে উঠেছিল সারা দেশ । অথচ উন্নাওয়ের সেই নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল জামিনে ছাড়া পাওয়া সেই ধর্ষণে অভিযুক্তরাই। অবশেষে পুলিশের গুলিতে মারা গেল সেই চার ধর্ষক ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বুধবার রাত ৯টা ২০ নাগাদ, হায়দরাবাদে এনএইচ ৪৪-এর ওপর পেশায় পশুচিকিৎসক ওই ২৬ বছরের তরুণীর স্কুটির চাকা পাংচার করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তার পরের এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা । এমনকি ধরা পড়ার পরে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছিল, তরুণী যাতে চিৎকার না করতে পারেন, সে জন্য তাঁর গলায় জোর করে মদ ঢেলে দিয়েছিল তারা। এমনকি তরুণীকে পোড়াতেও তাঁরই স্কুটির পেট্রোল ঢালা হয়েছিল বলেও স্বীকার করেছে তারা।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে-চারটে নাগাদ তদন্ত চলাকালীন পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে চার অভিযুক্ত। তখনই গুলি করে মারা হয় তাদের। ঘটনাস্থলেই মারা যায় চার ধর্ষক। মৃত চার ধর্ষকের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু ।
সারা দেশের মানুষ ফেটে পড়েছিল ক্ষোভে, প্রতিবাদে। দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়ে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি তুলেছিলেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে দাবি করেছিলেন গণহত্যার। এ সবের মধ্যেই শুক্রবার কাকভোরে খবর এল এনকাউন্টারের। সাধারন মানুষের পাশাপাশি নির্যাতিতা নিহত তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, ঘটনায় শান্তি পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “দশ দিন হয়ে গেল আমার মেয়েটা চলে গেছে। তার পরে শাস্তি হল ওর অপরাধীদের। সরকার ও পুলিশের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এবার নিশ্চয় শান্তি পাবে আমার মেয়েটা।”