বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এবার করোনা যুদ্ধে হেরে গিয়ে চিরকালের মত বিদায় নিলেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনিং ব্যাটসম্যান চেতন চৌহান । একমাসের কিছু বেশি সময় লড়াইয়ের পর রবিবার জীবনের বাইশ গজ থেকে অব্যাহতি পেলেন তিনি । রবিবার বিকাল ৪ টে ৩০ মিনিটে গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । চেতন চৌহানের মৃত্যুতে ভারতের ক্রীড়া জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
গতমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চেতন চৌহানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে । এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে । সেখানেই রবিবার কিডনি সহ মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । ক্রিকেট জগত ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি । মারা যাবার পূর্বে উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদে মৃত্যুর আগে অবধি আসীন ছিলেন তিনি ।
ভারতের ক্রিকেট টিমে সুনীল গাভাস্করের সাথে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলেছেন চেতন চৌহান ।ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে দীর্ঘদিন ডিডিসিএ-র পদ সামলেছেন চৌহান। ডিডিসিএ-র প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং সচিবও ছিলেন তিনি। এছাড়াও জাতীয় প্রধান নির্বাচকের পদ সামলেছেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ওপেনার। ১৯৭৯ ওভালে ওপেনিং জুটিতে সুনীল গাভাস্করের সঙ্গে স্মরণীয় ২১৩ রান আজও জ্বলজ্বল করে । এভাবে আচমকা করোনা যুদ্ধে হেরে চেতন চৌহানের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না রাজনীতি এবং ক্রীড়া মহল । তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করলেন সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, অনিল কুম্বলে, গৌতম গম্ভীর, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা।
মাস্টার ব্লাস্টার সচিন শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘চেতন ভাই’য়ের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। উনি সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করতেন এবং ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর ফেলে আসা দিনগুলোর গল্প শোনাতেন। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি লেখেন, ‘শ্রী চেতন চৌহান জি’র মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং উনার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’ গম্ভীর লিখেছেন, ‘ক্রিকেটারের পাশাপাশি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে তাঁর ক্রিকেটের প্রতি অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঈশ্বর উনার পরিবার এবং প্রিয়জনদের শক্তি দিক।’
দলের সহযোদ্ধা তথা উত্তরপ্রদেশের ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে সুবিদিত চেতন চৌহান জি পরবর্তীতে একজন পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ হিসেবেও নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। নাগরিক পরিষেবা প্রদানে এবং উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তাঁর মৃত্যুসংবাদ যন্ত্রণা দিচ্ছে। কঠিন সময় তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।’