বর্ষীয়ায়ন বিজেপির নেতা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অবস্থা সঙ্কটজনক। এই নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতির সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে যান বিজেপি সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্যবর্ধন।
অরুন জেটেলির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে গত ৯ আগস্ট দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ভর্তির খবর পেয়ে দেখতে যান প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন সতীর্থরা তার খোজ নিতে যান। এর মধ্যে রয়েছে অর্থমন্ত্র নির্মলা সীতারমণও ছাড়া একাধিক মন্ত্রী। গত শুক্রবার এইমস হাসপাতালের মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণ জেটলির অবস্থা স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত জেটলির চিকিৎসার জন্য ছুটি বাতিল করে ভিয়েতনাম থেকে দিল্লি ফিরে আসেন এইমস-এর ডিরেক্টর। উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছেন এই রাজনীতিবিদ। গত বছর একটা বড় সময় চিকিৎসার জন্য বিদেশে ছিলেন। সেই সময় অন্তর্বর্তী অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সুরেশ প্রভু। দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই জেটলি প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন। জানিয়ে দেন, “আমায় আর মন্ত্রিসভায় রাখার কথা ভাববেন না। আমার শারীরিক অবস্থা যা, তাতে আমার পক্ষে দায়িত্ব সামলানো মুশকিল।”
অরুণ জেটলি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ এর জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এর মন্ত্রিসভায় ভারতের শিল্প ও বানিজ্য ও আইন মন্ত্রী ছিলেন। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন প্রাকটিস করতেন। তিনি দিল্লি হাইকোর্টে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন জেটলি। তিনি ঐ সময় যুবমোর্চার আহ্বায়ক ছিলেন। তাঁকে আটক করে প্রথমে আম্বালা জেলে রাখা হয়েছিল পরে দিল্লির তিহার জেলে আটকে রাখা হয়। বাজপেয়ী সরকারেও ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন জেটলি।