সফলভাবে বিমান হানার পরে চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতেই দ্বিতীয় বারের জন্য প্রত্যাঘাত ভারতের। এবার বায়ুসেনা নয়, ভারতীয় সেনা জওয়ানদের কাজ।
নিয়ন্ত্রনরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জের হিসেবে এই আক্রমন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আক্রমনে পাকিস্থানি সেনাদের পাঁচটি ক্যাম্প গুঁড়িয়ে গেছে। ভারতীয় সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পাক অধিবাসীদের বাড়িগুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। তবে পাল্টা হিসেবে সিভিলিয়ানদের বাড়িগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে না ভারতীয় সেনা। বরং শুধুমাত্র পাক পোস্টগুলি লক্ষ্য করেই গুলি চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
মঙ্গলবার ভোররাতে পাক দখলীকৃত কাশ্মীরে ঢুকে আকাশ পথে আক্রমন করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনা এই অভিযানে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছিল। পাকিস্থান ভারতীয় আক্রমন ঠেকাতে E-16 বিমান নিয়ে এগোলেও পরবর্তী সময়ে পিছিয়ে যায়। এই আক্রমনে জইশ নেতা মাসুদ আজাহারের পরিবারের ঘনিষ্ঠ পাঁচজন ছাড়াও প্রায় ৩৫০ জন জঙ্গি নিহত হয়। এরপরেই আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার সাফল্যের কথা।
ভোর রাতের এই অভিযানের কথা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করে নিলেও কোনও প্রকার ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেননি। এরপর জরুরী ভিত্তিতে সাংসদ বৈঠক করেন ইমরান খান এবং বৈঠকের পরেই দেশবাসীকে বার্তা দেন সকল ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে। বিকাল নাগাদ নিয়ন্ত্রন রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকবাহিনী। গোলা ছোড়া হয় পুঞ্চ, মানকোট, নৌসেরা অঞ্চলে। ভারতীয় বাহিনী এই হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল। যোগ্য জবাবও দেয় তারা। বিশ্বমহলে ফের আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্থানের।
এত কিছু ঘটে যাবার পরেও ভালোমতো শিক্ষা হয়নি পাকিস্থানের। বিকালে পাক সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করার পর পরই ভারতীয় তিন বাহিনীর সাথে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী। সেখান থেকে পাক আক্রমনের উপযুক্ত জবাব দেবার ছাড়পত্র পাবার সাথে সাথে নিয়ন্ত্রন রেখার কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান জয় করে। এই আক্রমনের ফলে এড়িয়ে যায় পাকিস্থানের নিয়ন্ত্রন রেখার ওপারে পাঁচ পাক সেনার ক্যাম্প।
সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী পাকিস্থানের বেশ কয়েকজন সেনা এই হামলায় নিহত হয়েছেন। তাদের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী ২৮ তারিখ খুলে যাচ্ছে অমরনাথ। পাকিস্থান যে কোনও সময় পাল্টা আঘাত হানতে পারে এবং সেক্ষেত্রে অমরনাথ, পাকিস্থানের সীমান্তবর্তী এবং সহজ নিশানা হতে পারে। যে কারনে নিরাপত্তার বলয় মুড়ে ফেলার ব্যবস্থা চলছে।