বাগেরহাটে খাদ্য মন্ত্রী গত সোমবার ৫ আগস্ট মোংলার জয়মনিরঘোল এলাকার সাইেলা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। খাদ্যশস্য মজুতের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্য মজুত বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় দেশে নতুন ৮টি সাইলো নির্মাণ করবে সরকার। চালের জন্য ৬টি ও গমের জন্য ২টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে জানা যায় তিন প্যাকেজে এই ৮টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রথম প্যাকেজের আওতায় মধুপুর, ময়মনসিংহ ও আশুগঞ্জে ৩টি সাইলো নির্মাণে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
বর্তমানে সরকারি গুদাম ও সাইলোর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন। চলতি বছর এই ধারণ ক্ষমতা ২২ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০২০ সালের মধ্যে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে। দেশে প্রতি বছর মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টন গম উৎপণ্য হয়। এসব খাদ্যশস্য মজুতের জন্য আধুনিক খাদ্য মজুত ব্যবস্থা বৃদ্ধির এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সুন্দরবনের কাছে মংলার সাইলো পরিদর্শন কালে বলেন, খাদ্যের প্রয়োজনীয় মজুদ নিশ্চিত করতে সারা দেশে আরও সাইলো (খাদ্য গুদাম) নির্মান করা হবে। যার প্রত্যেকটির ধারণ ক্ষমতা হবে ৫ হাজার টন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। বন্যায় খাদ্য শস্য নষ্ট হয়নি। ফলে খাদ্য সংকট হওয়ার কোন কারণ নেই। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ৪৬% খাদ্য শস্য মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানী করা হচ্ছে। এছাড়া মোংলার বৃহত্তম এই সাইলো আরো কার্যকরী করার জন্য জেটির সামনের অংশের পশুর নদীতে ড্রেজিং ও মোংলা-জয়মনি রাস্তাটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।
মোংলা সাইলো পরিদর্শণকালে মন্ত্রীর সাথে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ মোল্লা, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল, মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।