বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক হানার পর স্বভাবতই ভারতীয় সেনাবাহিনী আশঙ্কা করেছিল পাকিস্তান থেকে একটা পাল্টা জবাব আসবে । সেই কারণে পাকিস্তানের জলপথ, স্থলপথ এবং বায়ু পথ সবদিকেই ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী । বালাকোটের হামলার নজরদারি চলাকালীন দেখা যায়, পাকিস্তানের একটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন তথা ডুবোজাহাজ এর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না । এই খবর পাওয়ার পর ভারতের নজরদারি বেড়ে যায় । পাকিস্তানের করাচি উপকূলে এই সাবমেরিন থাকতো । হঠাৎ করে এই সাবমেরিন নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়ে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং সেনাবাহিনীর কর্তাদের কপালে ।
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এই চিন্তা অমূলক ছিল না । কারণ পাকিস্তান নৌবাহিনীর এই বিশেষ শক্তিশালী নৌযানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে জলের অনেক নিচে লুকিয়ে রাখা যেত এবং সেটি অনেকটা সময় ধরেই জলের নিচে থাকতে পারতো । এই যুদ্ধ জাহাজ মাত্র তিন দিনের মধ্যে করাচি থেকে ভারতের গুজরাটে চলে আসতে পারতো । এমন কি ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাই আসতে খুব বেশি হলে পাঁচ দিন সময় লাগবে এই নৌ যানটির ।
ভারতীয় সেনাবাহিনী আইএনএস বিক্রমাদিত্য কে সাথে নিয়ে সর্বমোট 60টি যুদ্ধজাহাজকে একসাথে তল্লাশির কাজে লাগিয়েছিল । এরা তল্লাশি চালিয়েছে সমুদ্র উপকূল ধরে এই যুদ্ধ জাহাজ এর হদিস জানার জন্য । অবশেষে টানা ২১ দিন পরে পাকিস্তানের পশ্চিম উপকূলে ভারতীয় নৌসেনা এই ডুবোজাহাজ কে খুঁজে পায় ।