বাংলাদেশ হল নদীমাত্রিক দেশ, নদীই এখানকার বিভিন্ন যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এবং এই নদীর ওপরেই নির্ভর অসংখ্য মানুষের রুজিরুটি। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ফলে প্রশাসন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সদরঘাট এলাকার দুটি ব্যস্ত নদী ঘাট।স্থানীয় মাঝি, রেডিমেট পোশাক ব্যাবসায়ী ও শ্রমিকদের প্রবল আন্দোলনের চাপে পড়ে আজ ফের খুলে দেওয়া হল ব্যস্ত নদী ঘাটগুলি ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাটে একটি লঞ্চের ধাক্কায় নৌকায় থাকা ৭ জনের মৃত্যুর পর সোমবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ সদরঘাট থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত নৌচলাচল বন্ধ করে দেয় কিন্তু ক্রমাগত বিক্ষোভ এবং প্রতি মন্ত্রির নির্দেশের পর ওয়াইজগঞ্জ থেকে আগানগর পথে পুনরায় নৌ চলাচলের ব্যাবস্থা করা হয় ।সে জন্য ওয়াইজ ঘাটে যে পল্টন বসানো হয়েছিল, সেটি পুনরায় তুলে নেওয়া হয় ।
মাঝিদের কাছ থেকে জানা যায়, গত বুধবার সকালে সদরঘাট ও সিমসনঘাট থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত নদীতে খেয়া নৌকা চলাচল শুরু হয়েছে । এবং এই চলাচলে কর্তৃপক্ষ কোন বাধা দেয়নি । বিআইডব্লিউডির ঘাট বন্ধের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিক্ষোভে নামেন মাঝি, রেডিমেট পোশাক ব্যাবসায়ী ও শ্রমিকরা । কেরানীগঞ্জ এলাকার সাংসদ ও বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ নৌপরিবহণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ফোন করে নৌচলাচলের ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
কেরানীগঞ্জ এলাকার সাংসদ ও বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদের কথায় এখানে পারাপারে দুর্ঘটনায় লোক মারা গেলে পারাপার বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এরসাথে জড়িত নানাবিধ ব্যবসা ও পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে পারেন অসংখ্য মানুষ। সেই সব অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বিআইডাব্লিউডির কর্মকর্তারা জানান আপাতত এই ঘাট দিয়েই খেয়া চলাচল হবে ।তবে নতুন পরিসরে খেয়া নির্মাণের কাজ শেষ হলে এই সব ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে ।তবে নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে সে বিষয় এখনও কিছু যানা যায়নি।
প্রতিমন্ত্রীদের পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রালয়ের সচিব আব্দুশ সামাদ, বিআইডাব্লিউডির চেয়ারম্যান মেহেবুব উল ইসলাম, নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মহাম্মাদ মারুফ হাসান।