জাতিসংঘ থেকে সর্বত্রই কান্নাকাটি করে নালিশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সমস্ত বিশ্বের দরবারে কারও মন গলাতে না পেরে এখন পরমানু অস্ত্র নিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক বার্তায় বলেন, ‘‘ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাঁড়ার থেকে অন্য দেশগুলি কতটা নিরাপদ, এ বার গুরুত্ব দিয়ে তা ভাবা উচিত গোটা বিশ্বের। কারণ, এটা এমন একটা বিষয়, যার প্রভাব শুধুই এই অঞ্চলেই নয়, পড়বে গোটা, ভারতে। ৪০ লক্ষ মুসলিমের নাগরিকত্ব বাতিল জরে দেওয়া হয়েছে। আরএসএসের গুণ্ডাগিরি এভাবেই বাড়তে থাকছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইমরান খান ভারতকে কয়েকদিন আগে যুদ্ধের হুশিয়ারিও দিয়েছিলেন। তবে ভারতের রাজনাথ সিং বলেছেন, প্রয়োজনে পরমাণু নীতিতেও বদল ঘটাতে পারে ভারত, সেদিন থেকে কিছুটা থতমত খেয়েছে ইসলামাবাদ। রাজনাথের কথার সূত্র ধরেই পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুশিয়ারি দেন। ভারতের পরমাণু হানাদারির মোকাবিলায় পুরোদস্তুর প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে ইসলামাবাদ। এবার ইমরান খান ট্যুইটে ভারতের সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের কথা তুললেন। এমনকি এই নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক হতে বলেছেন ইমরান।
কাশ্মীরকে নিয়ে ভারত ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে পাকিস্তানের। এখন প্রায় প্রত্যেকদিনই নিয়ম করে কোনও না কোনও বার্তা দেন তিনি। রবিবার কাশ্মীর ইস্যুতে ফের একগুচ্ছ ট্যুইট করেন ইমরান খান। ইমরান খান এ মন্তব্যও করেন, “কাশ্মীর থেকে গোটা বিশ্বের নজর ঘোরাতেই ভারত ওই পরমাণু যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারে। মোদী সরকারের আমলে ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।“
পাকিস্থানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নেহরুর ভারতকে কবর দিচ্ছেন মোদী। রবিবার একই ভাষায় পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন নেহুর-গান্ধীর ভারতে সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচার হচ্ছে। আরএসএস বিজেপির আদর্শকে নাৎসীদের সঙ্গে তুলনা করে ইমরান খান বলেন, জেনোসাইড বা গণহত্যার আদর্শে বিশ্বাস করছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার।