বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্তমান আধুনিক শিক্ষার যুগে দাড়িয়েও বহু মানুষ অশিক্ষিতই রয়ে গেছে, আর তা তাদের পশুর ন্যয় আচরণেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এমনই এক ঘটনার নিদর্শন দিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরূপনগরের বাসিন্দা মনিরুল।
একেই কন্যাসন্তান, তার উপরে গায়ের রং কালো, একারণে সন্তানের জন্মের পর থেকেই কিছুতেই তাকে মন থেকে মানতে পারেননি মনিরুল। এমনকি এই নিয়ে সন্তানের মা অর্থাৎ নিজের স্ত্রী’কেও বিস্তর খোঁটা শোনাতেন তিনি। আর সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ সাড়ে তিন মাসের মেয়ে ঝিকড়াকে রাগের মাথায় আছড়ে মেরে ফেলে মনিরুল
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার স্বরূপনগরের খাঁ পাড়ার বাসিন্দা মনিরুল। এই ঘটনার পর শিশুটির দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাবা মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ার পর তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও, মনিরুলের বাবা-মা’ও পলাতক অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর তিনেক আগে সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় খাঁ পাড়ার বাসিন্দা মনিরুলের। সোনিয়ার বাবা ইসমাইল ঘরামি’র অভিযোগ, বিয়ে’তে জামাই এর চাহিদা মতো সোনা-গয়না, টাকা যৌতূক দেওয়া সত্ত্বেও মেয়ের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালাত জামাই। এরপর মেয়ে যখন কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়, তারপর অত্যাচার আরও বেড়েছিল। সন্তানের মা সোনিয়া বলেন, “কেন মেয়ে হল, এ জন্য আমাকেই খালি দায়ী করত স্বামী। শ্বশুর-শাশুড়িরও তাতে মদত ছিল।”
সোনিয়া পুলিশকে জানান, গত শনিবার এ সব নিয়েই ঝগড়াঝাটি চলছিল তাদের মধ্যে। হঠাৎ করে সোনিয়ার গায়ে হাত তোলে মনিরুল এবং বাড়ি থেকে বের করে দেবে বলে শাসানি দেয়। কথা কাটাকাটির মধ্যে হঠাৎই একরত্তি মেয়েটাকে তুলে মনিরুল আছাড় মারে মাটিতে। “শব্দটুকুও বেরোয়নি মেয়েটার মুখ থেকে, তার আগেই সব শেষ” – বলে কান্নায় ফেটে পড়েন সদ্য সন্তানহারা মা।
মনিরুল অবশ্য হাসপাতালে গিয়ে বলেছিল, কোল থেকে পড়ে গিয়ে অমন অবস্থা হয়ছে মেয়ে’র। কিন্তু ততক্ষণে গোটা গ্রামে ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর গ্রামবাসী’ই পুলিশকে খবর দেয় বলে সূত্রের খবর। পুলিশ আসার আগেই মনিরুল এবং তার বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।