বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ‘গুগল’, ‘অ্যাপল’, ‘মাইক্রোসফ্ট’ এর মতো এবার সামাজিক গণমাধ্যম ‘ফেসবুক’ এর আধিকারিকেরাও নিশ্চিত করলেন যে, গ্রাহকের গলার শব্দের প্রতিলিপি তৈরি করার জন্য তৃতীয় পক্ষের মানবকর্মীদের ব্যবহার করতেন তাঁরা।
প্রায় এক মাস আগে একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছিলো যে, ব্যবহারকারী’দের গলার আওয়াজ প্রতিলিপিকরণ করার জন্য তৃতীয় পক্ষের মানবকরমিদের’কে ব্যবহার করতো ‘গুগল’, ‘অ্যাপল’ এবং ‘মাইক্রোসফ্ট’ এর মতো বড়ো বড়ো প্রতিষ্ঠান। এপ্রসঙ্গে ‘মাইক্রোসফ্ট’ কতৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানান, স্কাইপের স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ ব্যবস্থা মানব কর্মী দিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি অ্যামাজনের অ্যালেক্সা ভয়েস রেকর্ডিংও মানব কর্মী দিয়ে পর্যালোচনা করা হয় বলে জানায় প্রতিষ্ঠান’টির কতৃপক্ষ। ‘গুগল’, ‘অ্যাপল’,’মাইক্রোসফ্ট’, ‘অ্যামাজন’ এর পরে এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো সামাজিক গণমাধ্যম ‘ফেসবুক’।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, কর্মীদেরকে গ্রাহকের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং দেওয়া হয় ফেসবুকে। তবে কোন পদ্ধতিতে এই অডিও রেকর্ড’গুলি সংগ্রহ করা হয়, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি সেখানে। এরপর সম্প্রতি ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অডিও রেকর্ডিংগুলির ম্যানুয়ালি প্রতিলিপি তৈরি করা হয়, যাতে এআই ব্যবস্থা দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিলিপি করার কাজ আরো উন্নত করা যায়।
এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি ‘ফেসবুক’ এর মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে ‘গুগল’, ‘অ্যাপল’, ‘মাইক্রোসফ্ট’, ‘অ্যামাজন’ এর মতো তাঁরাও গ্রাহকের গলার শব্দের প্রতিলিপি করার জন্য তৃতীয় পক্ষের কর্মীদের কাজে লাগান, যা বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। এসকল কর্মীরা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার-এ গ্রাহকের কথোপকথন শুনে সেগুলির প্রতিলিপি তৈরি করতেন বলে জানা গেছে।