শুধুমাত্র সন্দেহবশত একজন ব্যবসায়ীকে নিজের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে মারা হলো । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত্রে পুরাতন মালদা শহরে । এর ফলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামাতে হয় কমব্যাট ফোর্সকে ।
ভূপালবাবুর স্ত্রী তপতী প্রামাণিক জানিয়েছেন, রাত আটটা নাগাদ ৮- ১০ জন ব্যক্তি হাতে লোহার রড, বাঁশ, নিয়ে তাঁদের বাড়ির সামনে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। তাঁদের সঙ্গে দুই মহিলাও ছিল। তিনি বলেন, ‘‘ভয়ে দরজায় তালা দিয়ে আমরা দুজন গুটিসুটি মেরে ঘরে বসেছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দরজা ভেঙে ফেলে ওরা। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। চিৎকার করেও আশেপাশের কারও সাহায্য পাইনি। আমার চোখের সামনে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে আমার স্বামীকে। আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যান তিনি। তারপর অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’’
রাতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তদন্তে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম সরকার, ডিএসপি শ্যামল মনল, পুরাতন মালদা থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, প্রতিবেশী কোনও এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে।
মৃতের স্ত্রী তপতীদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন ওই তরুণীর বাবা , কাকা , ভাই ও মা সহ ৮ থেকে ১০ জন হাতে লোহার রড, বাঁশ নিয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে মারে । তিনি বলেন, ‘‘পাড়া-প্রতিবেশীরা সবাই দাঁড়িয়ে থেকে দেখল। কিন্তু কেউ একবারের জন্য ওঁকে বাঁচাতে এলো না। অ্যাম্বুল্যান্স পাইনি। রক্তাক্ত স্বামীকে টোটোতে করে মেডিকেল কলেজে নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।’’