বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একজন পুরুষ মুখ ফুটে যে কথা অনায়াসে বলতে পারে, অনেক সময় ঠিক সেই কথাটা একটি মেয়ের পক্ষে বলা নিতান্তই লজ্জাকর এবং অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় । অথচ, অনেক গবেষণাতেই নাকি প্রমান মিলেছে, আনুপাতিক হিসাবে গড়পড়তা মেয়েদের যৌন আকাঙ্ক্ষা পুরুষদের চাইতে একটু বেশি থাকে । এমনকি সেই আকাংখার স্থায়িত্বও ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি ।
কিন্তু যদি অতিরিক্ত যৌন খিদে থাকে মেয়েদের ! তাহলে গবেষকরা বলছেন সেটি নাকি এক ধরনের মানসিক অসুস্থতার লক্ষন ।কারন সমীক্ষা বলছে, যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত উত্তেজনা একধরনের অসুখ। যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয় পারসিসটেন্ট জেনিটাল ওরৌজাল ডিসঅর্ডার বা PGAD। যা মানসিক নয়, স্নায়বিক বা নিউরোজিক্যাল সমস্যা ।
বস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের (Massachusetts General Hospital is the original and largest teaching hospital of Harvard Medical School and a biomedical research facility located in the West End neighborhood of Boston, Massachusetts. It is the third oldest general hospital in the United States and has a capacity of 999 beds.) গবেষকদের মত, মেরুদণ্ডের নীচের অংশ কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে যৌনাঙ্গে এই বাড়তি সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। তবে চিকিৎসায় এই সমস্যা সারে। অনেকেই এই অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনাকে মানসিক রোগের তালিকায় ফেলে দেন। তাই অসংখ্য মহিলা নীরবে এই কষ্ট সহ্য করেন। কারণ, মুখ ফুটে বললেই হয় তাঁর চরিত্রে দাগ পড়বে নয়ত মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে তাঁকে। বস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র লেখক ব্রুস প্রাইস বলছেন, এটি পুরোটাই স্নায়ুর কারণে ঘটে। মনের যোগ এখানে কোথাও নেই।মানসিক রোগ হিসেবে দেখা হয় বলে অনেকেই মেয়েদের এই সমস্যা নিয়ে রীতিমতো ঠাট্টা করেন।
গবেষকদের মতে, এই সমস্যা সম্পর্কে এখনও বিশ্বের বহু নারী সজাগ নন। ফলে চিকিৎসকদের তাঁরা বোঝাতেও পারেন না সঠিক ভাবে। সাধারণত, ১১ বছর বয়স থেকে এই সমস্যা দেখা দেয়। ৭০ বছরের বৃদ্ধাও ভুগতে পারেন PGAD-তে। এছাড়া গবেষকদের ধারনা, ডিপ্রেশন কমানোর ওষুধ নিয়মিত খেতে খেতে আচমকা বন্ধ করে দিলেও PGAD-তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার সিস্ট অপারেশনের সময় কোনও ত্রুটি থাকলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে।
সুত্রঃ NDTV