বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভোট বড় বালাই ! গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ কিছুতেই নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু তার মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে । নির্বাচনের কারনে ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে চিন্তা করে নির্বাচন কমিশনের ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল । এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা ।

বিহার বিধানসভা নির্বাচন সামনেই ।অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে নির্বাচন কমিশন  ২০২০ সালে নতুন নির্দেশিকা জারি করে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে । ভোট প্রচার করার সময় কি কি নিয়ম মানতে হবে, ভোটাররা ভোট কিভাবে দেবেন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে ১২ পৃষ্ঠার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে । এছাড়াও মনোনয়ন পেশ করার সময় এবার অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থী ।

নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া করোনা বিধির সমস্ত শর্ত মেনে রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচার চালাতে বলেছে । বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রচার করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের পাঁচ জনের বেশি কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন না । রোড শো করার সময় বা জনসভার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিয়েছে । তবে সব ক্ষেত্রে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে । এছাড়া ভোটাররা ভোট দেবার সময় বিশেষ করে ইভিএম-এর বোতাম টেপার আগে হাতে গ্লাবস বা দস্তানা পরা থাকে সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে ।

২০২০ সালের নির্বাচন কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে একটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে । নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এবার অনলাইনে মনোনয়ন পেশ করতে পারবেন প্রার্থী। জমানতের টাকাও অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।অনলাইনে না করে প্রার্থী যদি রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে চান, সেক্ষেত্রে সাথে দু’‌জনের বেশি লোক থাকতে পারবেন না। দু’‌টির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না।

ভোটার কেন্দ্রে ভোট পরিচালনা করার জন্য  ভোটকর্মীদের দস্তানা, মাস্ক, ক্ষেত্রবিশেষে পিপিই পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যান করে তাপমাত্রা মেপে তারপর ঢুকানো হবে । ইভিএম যন্ত্র, কন্ট্রোল ইউনিট ভোটের আগে এবং পরে স্যানিটাইজ করতে হবে ।

নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশিকা দিয়েছে সেটি যথাযথ মেনে চলা হচ্ছে কিনা অর্থাৎ ভোটের প্রচার, ভোটদান এবং গণনার সময় সমস্ত বুথ, বিধানসভাকেন্দ্রে,গণনা কেন্দ্রে করোনা বিধি পালন করা হচ্ছে কিনা, খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে  নোডাল হেলথ অফিসারকে । ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষন এবার অনলাইনেই নিতে হবে । এছাড়া ভোটের আগে কোনও ভোটকর্মী বা গণনাকেন্দ্রের কর্মীর করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর জায়গায় সেই কাজ করবেন রিটার্নিং অফিসার।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply