ঈদ উল আযহা হোক আর ঈদ উল ফিতর হোক না কেন মানুষ তার নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরে। একই সাথে বাংলাদেশে সরকারি সবচেয়ে বড় দুটি ছুটি দুই ঈদকে ঘিরে। এসময় দেখা যায় বেশীর ভাগ মানুষ উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য কোথাও না কোথায় যায়। আর এই যাওয়া নিয়েই যত বিভ্রান্তি। জ্যোতিষ বিদ, আবাহাওয়াবিদ সব বিদেরাই তারা তাদের মত আগাম কিছু বানী দেন। তারই সাথে দায়িত্বরত মন্ত্রীরাও বানী দেন এবারের ঈদ ভ্রমণ হবে স্বাচ্ছন্দ্যমত থাকবে না কোন সমস্যা।
এরই সাথে একদল সুযোগ সন্ধানী তাদের অনেকেই সাংবাদিক আবার কেউ কেউ সাংঘাতিক বলে থাকেন তারা শুরু করে। ঢাকা টাঙ্গাইলে যানজট। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে গাড়ি ধীরগতি। আবার আরেকটু বাড়িয়ে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। সদরঘাটে যাত্রীদের মহাসমুদ্র। শহরের থেকে বেড়ন যাচ্ছে না গাড়ির গতি। সমস্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের আরেকটি বড় ভাবনা পদ্মা। পদ্মার ঢেউরে। ফেরী পার হতে কয়েকঘন্টা আবার দিনও লাগতে পারে।
এত কিছুর পরে মন্ত্রীরা যখন কালো চশমা পরে ক্যামেরায় এসে বলেন এবার ঈদের যাত্রা হচ্ছে নির্বিঘ্ন তখন বাড়ির ছোট বাচ্চাটা নাম দেয় মিথ্যামন্ত্রী। মন্ত্রী মহোদয় আপনারা দামী গাড়িতে চলেন দামি বাড়িতে থাকেন আপনাদের রাস্তায় জানজট নেই কেননা আপনারাদের তো আর এরাস্তায় চলা লাগে লাগে না। মাসের পর মাস রাস্তা খোড়া থাকে। সেখানে আপনারা বলেন এবার রাস্তা নাকি অনেক ভাল।
ঈদে ঘরমুখো মানুষদের সামনে হাসি হাসি মুখ করে দাড়ান। জানেন সব ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে যখন মানুষ বাড়ি ফিরতে পারে না, তখন ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত চায় না। ঐ টাকার সাথে উচিত ছিল আপনাদের ফাইন দেওয়া। আমরা বিদ্যুত বিল সময় মত না দিলে আর যদি ট্যাক্স না দি তাহলে আপনাদের কথা থাকতেই পারি না। মাননীয় ট্রেন মন্ত্র, যোগাযোগ মন্ত্রী অন্য কোন দেশ হলে পদত্যাগ করত আর আপনারা চেয়ার থেকে সরতেই চান না। পদত্যাগ করে দেখান না একবার।