বেশ কিছুদিন ধরে আলোচিত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্ররা সাবলীলভাবে ইংরেজি পড়তে পারে না। শিক্ষাকর্মকর্তা মো: আক্তারুজ্জামান ঐ স্কুলের ইংরেজি শিক্ষককে বরখাস্ত করেন। ইংরেজি শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা ছবিকে দেওয়া শিক্ষা কর্মকর্তার চিঠিতে ২২ জায়গায় ভুল ধরা পরে।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আক্তারুজ্জামান চিঠিতে ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমি ভুলে ভরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। বৃহস্পতিবার সেটি সংশোধন করে স্মারক নম্বর ঠিক রেখে নির্ভুল চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একটি মহল এ বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মকর্তাকে নিয়ে জটিলতা করছে। এখানে দেখার বিষয় আমাদের শিক্ষার মানদন্ড। আমাদের একজন ছাত্র দেখে বাংলা, ইংরেজি পড়তে পারে না। তাকে পড়ানর দায়িত্ব শিক্ষকের। সেই শিক্ষকের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই শুরু হয় আন্দোলন।
আমাদের মনে রাখতে হবে একজন কর্মকর্তা কখোনই শিক্ষক নন। কর্মকর্তার ভুল ধরে বা অন্যের ভুল ধরে নিজের অপরাধ অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া কাম্য নয়। শিক্ষকের দায়িত্ব তার ছাত্রকে গড়ে তোলা। সেখানে তিনি নিজে গাফিলতি করেন।
বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে দেখা যায় খুব কম ছাত্রই যারা দেখে ইংরেজি বা বাংলা পড়তে পারে। এজন্য শিক্ষক একা দায়ী নয় এখানে শিক্ষা পদ্ধতি, অভিভাবকদের খাতায় ভাল ফলাফলের ইচ্ছা অনেকাংশে দায়ী। বিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় অনেক শিক্ষক পাঠদান করা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকেন। একজন শিক্ষক যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকেন তিনি কি করে তার ছাত্রদের পড়াবেন?