বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষা প্রতীষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি চলছিল অনেকদিন ধরে। এ নিয়ে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেকবারই আন্দোলন করে। যার চুড়ান্ত পর্যায়ে সরকার ২ হাজার ৭৩০ টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্তর ঘোষণা দেয়। সরকারের ঘোষণার পর এমপিও ভুক্তি নিয়ে নানা অসঙ্গতি এবং জনমনে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন দানা বাধে। যার উত্তর দিতে আজ বিকাল ৪ টায় ব্যানেবেইস সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে অনলাইনে আবেদন করে ৯ হাজার ৬১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আবেদনের পরে সরকার প্রায় এক বছর যাচাই বাছাইয়ের পর গত ২৩ অক্টোবর এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়। যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাবেদ আহমেদ। সরকারের তথ্য মোতাবেক এমপিওভুক্তির তালিকায়  ২০৪টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবে সাত হাজার ১৫টি প্রতিষ্ঠানই অযোগ্য।

এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের প্রদত্ত নীতিমালার চার শর্ত পূরণকারী প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া হয়েছে। নীতিমালায় উল্লেখিত শর্তগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের বয়স বা স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। প্রতিটি পয়েন্টে ২৫ করে নম্বর থাকে। কাম্য শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং স্বীকৃতির বয়স পূরণ করলে শতভাগ নম্বর দেয়া হয়। সর্বনিম্ন ৭০ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে। এবার আবেদন করা প্রায় ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ও শর্তপূরণ করতে না পারায় এমপিও পায়নি।

উল্লেখ্য এমপিও আবেদকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের মতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই অনলাইনে তথ্য দিয়েছে। কিন্তু এমপিও তালিকা প্রকাশে দেখা গেছে, তথ্য যাচাই হয়নি। এ কারণে প্রায় অর্ধশত অযোগ্য অথবা প্রায় অস্তিত্বহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হয়েছে। ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত, শিক্ষার্থী নেই, পাস নেই, স্কুল ঘর নেই এবং সরকারি হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানও এমপিও পেয়েছে। এতে বোঝা যায় তালিকা যাচাই-বাছাই কতটা উদাসীনভাবে হয়েছে।

Mr. Shuva is a News and Content Writer at BongDunia. He has worked with various news agencies all over the world and currently, he is having an important role in our content writing team.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.