বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির বিভিন্ন দপ্তর নিয়ে অভিযোগ উঠে। কিছুদিন আগে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, যে দুর্নীতি ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসাবে পরিচিতি পায়। এবার দুর্নীতির তালিকায় নির্বাচন কমিশন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্ট্যান্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রধান নির্বাচন কমিশনা (ইসি) সহ সকলের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
গত জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনের প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট হয়েছে। জানা যায় নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার এবং সচিবর কর্মশালায় বিশেষ বক্তা, কোর্স উপদেষ্টা ও কোর্স পরিচালক হিসাবে কোটি টাকার অর্থ সম্মানি হিসাবে গ্রহণ করেন। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পুরো কমিশনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সাংবিধানিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে গুরুতর অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনের জন্য সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল হিসেবে দায় গ্রহণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।’
টিআইবির পরিচালক আরো বলেন “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ কর্তৃক এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অনভিপ্রেত। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে পুরো একটি কমিশনের পদস্থ প্রায় সব কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নজিরবিহীন।“
প্রসঙ্গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে প্রশিক্ষণ উপলক্ষে শুধু ‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবে বক্তৃতা দিয়ে তাঁরা এই অর্থ নিয়েছেন। আর এর বাইরে ‘কোর্স উপদেষ্টা’ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের তৎকালীন সচিব (বর্তমানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব) একাই নিয়েছেন ৪৭ লাখ টাকা। তিনি ‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবেও টাকা নিয়েছেন। তবে তা কত জানা যায়নি ।