অর্থ নিয়ে মানুষে মানুষে যে কি বীভৎস রকম বচসা হয়ে যেতে পারে তা প্রায় আমাদের সকলেরই জানা, আর উল্লেখ্য বিষয় হল এই বচসার কোনও নির্দিষ্ট সীমা থাকেনা। বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক সবকিছুই এক নিমেষে তিক্ত করে দিতে পারে অর্থ। তাই বলে বাবা-মেয়ের সম্পর্কেও খলনায়কের ভূমিকায় অর্থ এবং তার অন্তিম পরিণতি খুন, এমনটা শুনলে সত্যিই একটু অবাক হতে হয়। গত শুক্রবার ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে গেলো নাসিকে, আর তার সাক্ষী হয়ে থাকলো গোটা পাড়া।
“অভাবে স্বভাব বদলায়”, এই প্রবাদবাক্য বহুবার আমরা শুনেছি। এমনটাই ঘটলো নাসিকের বাসিন্দা কৃষক রুশিকেষ পন্ধরীনাথ বোরার সাথে। অর্থের অভাবে এবং সাংসারিক অশান্তিতে দিনে দিনে মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছিল তার, অবশেষে তা উগড়ে দিলেন তার ১৮ বছরের মেয়ের উপর।
গত শুক্রবার রাত মদ খেয়ে বাড়িতে ফেরেন রুশিকেষ। মেয়ের অপরাধ এই ছিল যে, বই-খাতা এবং জামা কেনার দরুন সে তখন ১০০০ টাকা চেয়েছিল বাবার কাছে। এমনিতেই মেয়ের কলেজে পড়া নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট ছিলেন রুশিকেষ, তার ওপর মেয়ের এই আবদার আগুনে ঘি ঢালবার কাজ করল। ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে গিয়ে ঘরে থাকা চাষের প্রয়োজনীয় কীটনাশক জোড় করে মেয়ের মুখে ঢেলে দিতে থাকেন তিনি। এই ঘটনা দেখে বাধা দিতে ছুটে আসা তার ১৬ বছর বয়সী ছেলে, তখন তাকেও খায়িয়ে দেন সেই কীটনাশক।
চেঁচামেচি শুনে মা রুশিকেষ এর স্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর আওয়াজেই প্রতিবেশীরা উপস্থিত হয়ে দুই ছেলে-মেয়ে’কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছেলেটি কোনক্রমে বেঁচে গেলেও মেয়েকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অবশেষে রুশিকেষকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ।