বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ডিজিটাল দুনিয়ায় তারকারও পিছিয়ে থাকতে রাজি নন। সোস্যাল মিডিয়ায় না থাকলে ঠিক মত পরিচিতি পাওয়া যায় না। শ্রীলেখা মিত্র, রাজ চক্রবর্ত্তীর মত মিমিও ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। মিমি এই চ্যানেলের নাম দিয়েছেন মিমি চক্রবর্ত্তী ক্রিয়েশনস। টলিউডে সম্প্রতি ডিজিটাল মিডিয়ার হাওয়া বইছে। অনেকেই হয়ত মনে করছেন ইউটিউবার হয়ে অনামী ব্যক্তিরা নামী হয়ে যাচ্ছে। বলিউডে এই ধারা অনেক দিনের।
সোস্যাল মিডিয়া রানু দিকে পৌছে দিয়েছে খ্যাতির শীকড়ে। তবে এই খ্যাতি যে ধরে রাখা একটি বিষয় তা খোদ লতা মুঙ্গেশকর বললেন, “আসল হও। কাউকে নকল কোরো না। যদি আশা নিজের স্টাইলে গান না গেয়ে আমাকে নকল করত তবে সে-ও আজ আশা হত না।”
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার দ্রুত বাড়ছে। প্রচার নিয়ে কথা বলতে রাজ চক্রবত্তী বলেন, ‘‘আমার কিছু প্রচার করার থাকলে আগে কারও উপরে নির্ভর করতে হত। কিন্তু ইউটিউবে আমি সরাসরি ছবির গান, কনটেন্ট পোস্ট করছি। আর দর্শকের কাছে পৌঁছনোর জন্য ইউটিউবের চেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম নেই।’’ আরো এক ধাপ এগিয়ে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ‘‘অভিনয় ছাড়া আমি লেখালিখি করি। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে আমার মতামত রয়েছে। সেগুলো দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই ইউটিউব চ্যানেল।’’
প্রসঙ্গত মিমি চক্রবর্ত্তী এর আগে ছবিতে প্লে ব্যাক করেছেন এখন তার ইচ্ছা গান নিয়ে কিছু একটা করা। নিজের চ্যানেলে তাই মিউজিক ভিডিও প্রথম আপলোড করেন। সংসদে মিমি চক্রবর্ত্তী এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি কতটা ফ্রি-স্পিরিটেড মানুষ, তা দর্শক আগে দেখেননি। এই চ্যানেল আমার সত্তার এক্সটেনশন। আমি যে বেড়াতে ভালবাসি, নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে অচেনা মানুষের সঙ্গে আলাপ করি, সেই সব আমার ফ্যানেরা দেখতে পাবেন’’ তবে জানা যাচ্ছে এখনই নেট মিডিয়ায় তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে আনছেন না।
তারকাদের প্রচারের সাথে ইউটিউবের আয়ের দিকেও যে আগ্রহ কম তা নয়। এ প্রসঙ্গে রাজ চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘‘আমার প্ল্যাটফর্মকে যদি বড় করতে পারি, তখন অনেক ছোট মাপের ব্র্যান্ড আমার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারে আসবে। সে ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটিরও লাভ, চ্যানেলেরও রেভিনিউ বাড়বে।’’