বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: আপনার ওয়াইফাই আপনার শরীরের জন্য কি বয়ে আনছে জানেন কি? ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহুর্ত চলতে পারেন না। আসলে কে পারে? যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম আবিষ্কার ইন্টারনেট আর তার সাথে অন্যতম টেকনোলজি ওয়াই-ফাই। সেই ওয়াই ফাই নিয়ে আসতে পারে আপনার শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ। ওয়াই-ফাইয়ের রেডিয়েশন শরীরের উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। যার ফলে শরীরকে খারাপ করে দেয়। একাধিক গবেষনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াই ফাই সিগনাল বিশেষ করে যেসব সংস্থা রেডিয়েশনের দিকে চিন্তা না করে স্বল্প মূল্যে রাউটার বানায় তাদের প্রভাব বেশী। ওয়াই ফাই হচ্ছে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা। এখন অনেক সংস্থাই শুধু অফিস বা বাড়িতে নয় বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াই-ফাই দিচ্ছে। ইন্টারনেটের এ ব্যবস্থাকে আমাদের সামনে আরো মনোমুগ্ধকর ভাবে আনা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অজ্ঞাতে শুধু প্রাপ্ত বয়স্করাই নয় শিশু এমনকি গাছের বৃদ্ধি সঠিক হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিক লক্ষ করে যেসব রাউটার প্রস্তুত করা হয় তাদের বাজারে মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশী থাকে। বৃটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষনায় দেখা যায় রাউটারের তরঙ্গে মানুষের মধ্যে বেশকিছু ক্ষতিকর প্রভাব তৈরী হয়। বিশেষ করে মনোযোগে সমস্যা, কানে ব্যথা, ঘন ঘন তীব্র মাথা ব্যথা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, ঘুমে সমস্যা, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যাথা, অমনোযোগিতা, হজমে সমস্যা, উদ্বেগ বা বিষণ্নতা, অত্যধিক ক্লান্তি, শুক্রাণু প্রতিহত করে পুরুষত্ব বিলীন করে, মস্তিষ্কের কাজে বাধা দেয়, ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে, কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়, চোখের দৃষ্টি ঘোলা, স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি, হৃদরোগ।
ওয়াই ফাইয়ের এই ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ওয়াই-ফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। রান্নাঘর বা বেডরুমে রাউটার রাখা উচিত নয়। তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হ্রাসে বাসায় থাকাকালীন তারযুক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন। ব্যবহার না করলে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন। বিনা কারণে রাউটারের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করবেন না। এতে করে তড়িৎচুম্বকিয় তরঙ্গ বন্ধ রাখা যায়, যা শিশুদের বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। ইন্টারনেট ব্যাবহারের সহজ এবং খরচ কমের প্রধান উৎস হলো ওয়াইফাই আর এই ওয়াইফাই এর জনক বা আবিষ্কারক ডাচ কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভিক্টর ভিক হেরেস ।
কিছুদিন আগে ডেনমার্কে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায় ওয়াই বীজের অঙ্কুরোদগমেও প্রভাব ফেলে। ড্যানিশ এক ছাত্র এ পরীক্ষা চালিয়ে দেখান ওয়াই ফাই বীজের স্বাভাবিক অঙ্কুরোদম বিঘ্নিত করে। রেডিয়েশন এন্টেনার যত কাছে থাকে তত বেশী, এবং দূরত্ব বাড়লে দূর্বল হয়ে পড়ে। উত্তর জাটল্যান্ডের একদল ছাত্রছাত্রী শাকের বীজের উপর ওয়াই ফাইয়ের ক্ষতিক দিক পরীক্ষা চালান। এরকমই আরো কয়েকটি পরীক্ষা করেন ইংল্যান্ড, হল্যান্ড ও সুইডেনের গবেষকরা। তারা মনে করেন শারীরিক শুধু ক্ষতি নয় ওয়াই ফাই মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।