বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনার মোকাবিলায় অধিকাংশ সময় ঘরে সময় কাটাতে বাধ্য হতে হচ্ছে । অথচ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হলেও আবহাওয়ার ভ্যাপসা ভাব কিছুতেই কমার লক্ষন নেই । সাধারন ফ্যানের হাওয়া খুব বেশি গায়ে লাগছে না । ফলে গরম থেকে বাঁচতে সাধারণত অফিসে কিংবা বাসায় এসি থাকলে চালাতেই হচ্ছে । কিন্তু এভাবে নিয়মিত এসির ব্যবহার অন্তত কিছু ক্ষেত্রে আপনার ক্ষতি করে চলছে ।  সারাক্ষণ এসিতে থাকলে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ।

(১) শরীরে জলশুন্যতাঃ যারা এসি রুমে খুব বেশিক্ষণ থাকেন তারা অনেক বেশি ডিহাইড্রেটেড থাকেন। আসলে এসি ঘরের মধ্যে থেকে সব আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে শরীর থেকেও জল কমে যায় ।

(২) মাথা ব্যথাঃ সারাক্ষন এসি ঘরে থাকলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটি মাথা ব্যাথা । যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ত কথাই নেই, যারা সুস্থ তাদের মধ্যেও মাথাব্যথা আর মাইগ্রেনের লক্ষনের ঝুঁকি এসে যায় ।

(৩) শরীরে ক্লান্তি ক্লান্তি ভাবঃ সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাধারন ঘরে যারা থাকেন তাদের শরীরে ক্লান্তি ভাব দেরিতে আসে । অপর দিকে এসি ঘরের ক্ষেত্রে উল্টো ।যারা বড়িতে বা অফিসে এসির মধ্যে থাকেন, তারা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

(৪)  শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাঃ এসি রুমে থাকলে সকলের যে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হবে সে কথা ঠিক নয় । তবে গবেষণায় দেখা গেছে,  নিয়মিত এসি রুমে থাকার ফলে অনেকের  শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় ।

(৫) ত্বকের ক্ষতিঃ সাধারণত গরমকালে আমরা এসির ব্যবহার বেশি করি। এই সময় সূর্যের এক্সপোজারও অনেক বেশি থাকে। এর ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।

(৬) অ্যাজমা ও এলার্জির লক্ষনঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘর বা অফিসের এসি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না । যে সব ক্ষেত্রে নিয়মিত এসি পরিষ্কার করা হয় না, সেই সব এসির মধ্যে দীর্ঘ সময়  থাকলে অ্যাজমা ও অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে।

(৭) চোখের সমস্যাঃ এসি ঘর এবং শরীর উভয় ক্ষেত্রেই ডিহাইড্রেড করে । একই ভাবে  দীর্ঘসময় এসি ঘরে থাকলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে চোখ  চুলকাবে। চোখ জ্বালাও করতেও দেখা যায় অনেক সময় ।

(৮) সংক্রামক ব্যাধিঃ গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত । গবেষণায় উঠে এসেছে বাতাসে করোনা ভাইরাস ভাসতে পারে । ফলে যে সব এসি বাইরের থেকে বাতাস ঘরে ঢোকায়, সে ক্ষেত্রে একটা ঝুঁকির প্রশ্ন এসে যায় । এছাড়া  দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে নাকের প্যাসেজ ড্রাই হয়ে যায়, তার ফলে মিউকাস মেমব্রেনে ইরিটেশন হতে পারে বা মিউকাস শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply