বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ অসুস্থ হবার পর পরিজনরা স্থানীয় চিকিৎসককে জানিয়েছিলেন।তিনি ঔষধের পাশাপাশি করোনা টেস্টের কথাও লিখে দেন । কিন্তু বহু জায়গায় ঘুরেও করাতে পারলেন না করোনা টেস্ট । অবশেষে মারা গেলেন মহিলা । ঘটনাটি ঘটেছে কুদঘাটের এক সরকারী মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে । আপাতত তাঁর দেহ নার্সিং হোমের মর্গে রাখা ।
জানা গেছে, কুদ্ঘাটের বছর ৬২র এক মহিলার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয় । তাঁর আত্মীয় পরিজনরা স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গেলে তিনি কিছু ঔষধ লিখে করোনা পরীক্ষার জন্য বলেন । এরপর রাতের দিকে মহিলাটির অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কোন রকম পরীক্ষার ব্যবস্থা না করে স্রেফ ডায়রিয়ার ওষুধ দিয়ে তাঁকে এম আর বাঙুরে নিয়ে যেতে বলা হয়।
সেদিন রাত গভির হয়ে যাওয়ায় মহিলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় । প্রদিন সকালে রবীন্দ্র সরোবরের কাছে এক নার্সিংহোমে নিয়ে গেলেও সেখানে ভর্তি নেওয়া হয় না । তারপর বাঘা যতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বুকের একটা পরীক্ষা করার পরে জানানো হয়, রোগীকে আইসিইউ-এ রাখতে হবে। কিন্তু শয্যা খালি নেই। এর পরে মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেও শয্যা ছিল না। ওই হাসপাতাল থেকেই জানানো হয়, বাঙুরেও শয্যা খালি নেই। এর পরে রাতে বাইপাসের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আইসিইউ-এ ভর্তি করিয়ে জানানো হয়, পরের দিন কোভিড পরীক্ষা হবে। কিন্তু সেই পরীক্ষা হয় সোমবার। রিপোর্ট আসার আগেই মঙ্গলবার সকালে মারা যান ওই মহিলা।
কেন মহিলাটিকে শুধুমাত্র ডায়রিয়ার ঔষধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল এই প্রশ্ন বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারকে করা হলে সুপার শিবু বিশ্বাস সাফাই দেন, ”এখানে কোভিড পরীক্ষা হয় না। তাই ওই রোগীকে ভর্তি নেওয়া যায়নি।” অন্যদিকে যে বেসরকারি নার্সিং হমে মহিলাটি মারা গেছেন, সেখান থেকে মেডিক্যাল ডিরেক্টর নরেন্দ্রকুমার পোদ্দারের দাবি, ”রিপোর্ট আসার আগে দেহ তুলে দিতে চাইনি। ওঁরা ভুল বুঝেছেন।”