বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আমরা চোখের সামনে অনেক কিছুই দেখি, কিন্তু হয়ত বুঝতে পারিনা কোন জিনিসটা দামী আর কোনটা সাধারণ। এমনভাবেই হয়ত দীঘায় গিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ না দেখে আমরা শুধু দীঘা ঘুরেই চলে আসি। চমকপ্রদ হলেও সত্যি, যে দীঘার কাছেই রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ।
ভারত হল সংস্কৃতির দিক থেকে খুবই উন্নততর দেশ। এই দেশে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক বৈচিত্র তেমনই রয়েছে সংস্কৃতিক পার্থক্য। শুধু এশিয়া নয় বিশ্বের অনেক অবিশ্বাস্য বস্তু রয়েছে এই ভূ-ভারতে। তেমনই হল এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিব। কোলকাতার খুব কাছে ১২ ফুট উচ্চতা এবং ১৪ ফুট পরিধি যুক্ত এই শিবলিঙ্গটি হল বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিব। বাবা ভুশণ্ডেশ্বর নামে পরিচিত শিবলিঙ্গটি ওড়িশার বালাসোর জেলার সুবর্ণরেখা নদীর কাছে পান্টাইঘাটায় অবস্থিত। মন্দিরটি কিন্তু খুব বড় নয় তবে কালো গ্রানাইট পাথরের তৈরি শিবলিঙ্গটি নাকি এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত। এই শিবলিঙ্গটির বিশেষত হল এটি অর্ধেকটি মাটির ওপরে এবং বাকি অর্ধেকটি মাটির নিচে অবস্থিত। যদিও এই মন্দিরটি বালাসোর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তবুও পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে খুব সহজেই যাওয়া যায় সেই স্থানে। যেহেতু ওল্ড এবং নিউ দীঘা পেরিয়ে গেলেই ওড়িশা বর্ডার এবং সেখান থেকে একটু এগিয়ে গিয়েই চন্দনেশ্বর এবং তালসারি পেরোলেই এই মন্দির। দীঘা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দিরটি।
সব মন্দিরের মতোই এই মন্দিরের পেছনেও আছে এক পৌরাণিক কাহিনী। সেটি হল রাবণের কাহিনী। সকলেই যারা পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে অবগত তারা জানেন যে, লঙ্কার রাজা রাবণ ছিল ভগবান শিবের ভক্ত। কথিত আছে এই শিবলিঙ্গটি রাবণ মহাদেব শিবের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পান। কিন্তু এই লিঙ্গটিকে দেবী পার্বতীও পুজো করতেন। তাই রাবণ যখন এই শিবলিঙ্গটি তার সাথে নিয়ে যেতে উদ্ধ্যত হন তখন দেবতারা তাকে বাঁধা দিলে রাবণ এই স্থানে লিঙ্গটি লুকিয়ে রেখে চলে যান। পরবর্তীতে একজন মাড়োয়ারি ব্যবসাদার স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই লিঙ্গটি আবিষ্কার করে মন্দির স্থাপন করে পুজো করেন। সেই থেকেই বিখ্যাত এই মন্দির। আরও জানা যায় যে বনের মধ্যে অবস্থিত এই মন্দিরটি পাহারা দেয় বনের পশুরাই।