বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দুনিয়ার সবচেয়ে মোস্ট ওয়ান্টেড আই এস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অন্তর্বাস চুরি করেছিল কুর্দের গোয়েন্দা বিভাগের এক দক্ষ অফিসার । গোয়েন্দা দল অপারেশন বাগদাদি সফল করতে কোন ফাঁক রাখতে চাননি । তার ডি এন এ টেস্ট করে সংশয় মুক্ত হবার জন্য এই কাজ করেছিলেন বলে জানানো হয়েছে ।
https://twitter.com/PolatCanRojava/status/1188877194719825920?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1188877318179164160&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.thewall.in%2Fnews-international-syrian-agent-stole-isis-chief-baghdadis-underwear-for-dna-test-before-his-death%2F
এ যেন অপর এক লাদেনকে নিকেশ করার পরিকল্পনা । আইসিস প্রধানকে হত্যার ছক কষার অনেক আগে থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছিল সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দ বাহিনী ।কুর্দ বাহিনীর অফিসার পোলাট জানিয়েছেন, এই অপারেশনের পাঁচ-ছ’মাস আগে থেকেই বাগদাদির খোঁজ শুরু হয়। প্রথম খবরটা আসে ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দ বাহিনীর কাছ থেকেই। মার্কিন গোয়েন্দারা খবর পান বাগদাদিকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, বারিশা এলাকায় নতুন ঘাঁটি তৈরি করে সপরিবারে লুকিয়ে রয়েছে বাগদাদি। তার সঙ্গে রয়েছে এক দল আইএস জঙ্গিও। খবর যায় হোয়াইট হাইসে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরই সেনা অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে মার্কিন প্রশাসন। রাতের আঁধার। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবের বারিশা চত্বর নিশ্চিদ্র ঘুমে আচ্ছন্ন । জনবিরল প্রান্তরে কয়েকটা বাড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । তার মাঝেই একটা বড়সড় কম্পাউন্ড । গোয়েন্দাদের কাছে পাকা খবর আছে এখানেই সপরিবারে লুকিয়ে রয়েছে আইএস প্রধান বিশ্বের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি নেতা, যার মাথার দাম আড়াই কোটি মার্কিন দলার, সেই আবু বকর আল বাগদাদি । বাগদাদির কম্পাউন্ড ঘিরে রয়েছে সতর্ক প্রহরা । কীভাবে প্রবেশ করতে হবে সেটা আগেই ঠিক করে রেখেছিল গোয়েন্দারা । সেই মোতাবেক আইএসের মতোই পোশাক পরে কম্পাউন্ডের দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকলেন কুর্দের গোয়েন্দা বিভাগের এক দক্ষ অফিসার । সতর্ক, ধীর এবং সাবলীল গতিতে আইএস প্রধান বাগদাদির ঘরে ঢুকে তার অন্তর্বাস চুরি করে নিরাপদে বেরিয়ে এলেন কম্পাউন্ড থেকে । এই ঘটনার কথা কাকপক্ষীও টের পেল না ।
সোমবার কুর্দ বাহিনীর অফিসার পোলাট ক্যান সবিস্তারে জানান, কীভাবে আইএস প্রধানের খোঁজ মিলেছিল এবং কীভাবে তার বাড়িতে ঢুকে অন্তর্বাস চুরি করে এনেছিলেন কুর্দের গোয়েন্দা বিভাগের দক্ষ অফিসাররা । এই অন্তর্বাস ফরেন্সিক ল্যাবে পরীক্ষা করে ডিএনএ(DNA) টেস্টের কাজে লাগানো হয় । বাগদাদি খতম হওয়ার পরে এই ডিএনএ(DNA)-র সঙ্গে মিলিয়ে দেখেই মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে সত্যি সত্যিই খতম হয়েছে সে ওই কুখ্যাত জঙ্গি নেতা।