বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ- দেশে নাগরিকত্ব বিল পাশ নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব ছিল বিজেপি। নানা বাধা বিপত্তি পার করে অবশেষে নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়ে গেলো। নাগরিকত্ব বিল পাশের মূল লক্ষ্য ছিল প্রতিবেশী যে সমস্ত দেশ গুলিতে ভিন্নধর্মীয় মানুষের প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের মুক্তি দেওয়া এবং ভারতে আসার জন্য সুবিধে করে দেওয়া। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে সবচেয়ে বেশী সোচ্চার হয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন যে অন্য দেশ থেকে যদি কেউ এদেশে আসতে চায় তবে তাকে সাদরে গ্রহণ করা হবে এদেশে।
কিন্তু অনেক রাজ্য থেকে বিশেষ করে তৃণমূলের অধীনে থাকা পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিশেষ বাধা দিয়েছিলেন।এ নিয়ে বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধ হয় তার। কিন্তু সবকিছুকে উপেক্ষা করে রাজ্যসভা থেকে ১৬৩-০ ভোট পেয়ে পাশ হয়ে গেলো নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যখন ভোট গ্রহণ পর্ব চলছিল সেই সময় রাজ্যসভার ৮০ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। এই কারণে চেয়ারম্যান বেঙ্কইয়া নাইডু বিক্ষোভ জানিয়েছেন।
কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান নেতা ডেরেক ও ব্রিয়েনকে নিয়েও কিছু অস্বস্তিকর মন্তব্য করা হয়। বলা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ানকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে উচিত কাজ করেননি। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন খোদ ডেরেক। তিনি বলেন যে, মমতা ব্যানার্জি তাকে রাজ্য সভায় পাঠিয়ে ভোট-রাজনীতি করেননি। মুখ্যমন্ত্রী এমন একজন মানুষ তিনি সবসময় সমস্ত ধর্মকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। সেইসঙ্গে বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা পিছিয়ে পড়া কোনও জাতি নয়। বিজেপি থেকে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের সংরক্ষণ তুলে দিয়ে ঠিক কাজ করছেন তারা এটা ভাবলে ভুল ভাবছেন। বিজেপিকে মানায় না এসব। প্রতিবেশী দেশে ভিন্ন ধর্মীয় মানুষের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে নাগরিকত্ব বিল সংশোধন করা হচ্ছে এদিকে নিজের দেশেই সমস্ত ধর্মের মানুষের সংরক্ষণ নিয়ে সরব নয় বিজেপি। অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদেরকে বহিষ্কার করলেও তাদের নামের শেষের ইন্ডিয়ান কথাটি কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেনা।তারা এদেশের ছিলেন এবং থাকবেন।