বাগেরহাটেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে হাসপাতালে। এ পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুসহ ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। অবস্থা জটিল হওয়ায় ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার খুলনায় স্থানান্তর ও অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীরা হলেন, কচুয়া উপজেলার সোনাকান্দর গ্রামের সাড়ে ৫ বছর বয়সী শিশু ইয়াছিন শেখ, একই উপজেলার গোনার উলা গ্রামের নাইম হাওলাদার (১৯), সদর উপজেলার নাটইখালী গ্রামের আবুল হোসেন (৩০), পাতিলাখালী গ্রামের মুরাদ (৩০). পালপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদ (৬০). বৈটপুরের নিশাত হাওলাদার (২৭), পিতা-মোহাম্মদ আলী হাওলাদার। এবং অর্জুনবহর গ্রামের উজ্জল মন্ডল (২১)। এদের মধ্যে নাইম হাওলাদার ও শিশু ইয়াছিন শেখ নিজ এলাকা থেকেই আক্রান্ত হয়েছে। অন্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। জানা যায় নিশাত হাওলাদার কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে আসেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বাসন্তি দাস বলেন, আমাদের এখানে যেসব রোগী আসছে আমরা তাদের আন্তরিকতার সাথে সেবা দিচ্ছি। তবে কিছু রোগী আছে যারা মশারীর মধ্যে থাকতে চায় না। এদের নিয়ে কিচু বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাদেরকেও বুঝিয়ে বললে তারা মশারী ব্যবহার করেন।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ ইমরান মোহাম্মাদ বলেন, আমাদের হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে খুলনায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে একটি শিশুসহ ৭জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। যেসব রোগী আসছে তাদেরকে আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।