গত ৩ আগস্ট শনিবার রাতে জোবায়দা বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিৎিসা নিতে এলে স্থানীয় একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তার রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের জালাল পহলানের স্ত্রী। শরণখোলায় এপর্যন্ত একজন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে।
ডেঙ্গু খবরে উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি না থাকায় মানুষের মাঝে ভীতি সঞ্চার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সবখানেই আলোচনা চলছে।
বৃদ্ধা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না রেখে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ায় মানুষ আরো আতঙ্কিত হয়েছে। তবে, ডেঙ্গু বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন জনসচেতনতা সৃষ্টিতে র্যালি, সভা-সেমিনার করলেও মশা নিধনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। বদ্ধ ডোবানালা, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হচ্ছেনা। এনিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মাঝে।
রোগীতে হাসপাতালে ভর্তি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন, ডেঙ্গু সনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা উচিৎ ছিলো। বাড়িতে থাকায় ওই রোগীর মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া শোভন বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে জোবায়দা বেগম নামের এক বৃদ্ধা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। হাসপাতালে পরীক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় জাহানারা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই চিকিৎক বলেন, যেহেতু রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস, ডেঙ্গু রোগী সনাক্তের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বিস্তারিত জেনে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করা হবে। তাছাড়া সর্বত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নেওয়া হবে।