মানুষ কত ভাবেই না প্রতারণা করে । আজ আধুনিক যুগে বাস করেও আমরা কত ভাবে প্রতারিত হই । প্রতারিত হই অপরকে অন্ধ বিশ্বাস করে । তেমনি একটি ঘটনা এতদিন ধরে ঘটে যাচ্ছিলো । অবশেষে ধরা পড়ল হাতেনাতে প্রতারক দল ।
হরিণের মাংস নাম করে এক ধরণের ধোকাবাজ কিছুদিন ধরে শুকুরের মাংস বিক্রি করে আসছিল। গত ২ জুলাই বৃহস্পতিবার সুন্দরবন থেকে ১২ কেজি শুকরের মাংস বাজেয়াপ্ত করেছে বন বভিাগ।
বুধবার গভীর রাতে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের পুরাতন পানিঘাট থেকে বস্তাভর্তি ওই মাংস উদ্ধার করে বনবিভাগের সদস্যরা। তবে মাংস বাজেয়াপ্তর ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত মাংস আদালতে সোপর্দ করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, চোরা শিকারীরা হরিণের মাংস পাচার করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বনবিভাগের সদস্যরা। এসময় একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় থাকা মুখ বাধা এক ব্যক্তি পালিয়ে যায়। নৌকা তল্যাসি করে বস্তা ভর্তি ১২ কেজি মাংস পাওয়া যায়। পরে মাংসগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় এগুলো শুকরের মাংস।
তিনি আরও বলেন, চোরা শিকারীরা হরিণের মাংস কিছু এলিট শ্রেণি ও ধনী লোকদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে। টাকার নেশায় শিকারীরা অনেক সময় শুকর জবাই করে হরিণের মাংস বলে চালিয়ে দেয়। এ বিষয়টি আজ স্পষ্ট হয়েছে। সুন্দরবনের বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণের মাংস না খাওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান এ কর্মকর্তা।