বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এমনিতেও দেশের অর্থনীতির হাল দুর্বল ছিল, তার উপরে করোনা পরিস্থিতি আরও দুর্বলতর করে দিয়েছে সেই অবস্থা । এবার দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য সাংসদ মন্ত্রীদের উপর কোপ পড়তে চলেছে । এবার সাংসদ মন্ত্রীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার । ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বিল সংসদে পাশ করানো হয়েছে ।
অতীতে সাংসদ মন্ত্রীদের বিলাসিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাতা প্রভৃতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে । এমনকি দেশের অর্থনীতি যেখানে দুর্বল হয়ে পড়েছে, সেখানে কেন সাংসদ মন্ত্রীদের পিছনে খরচের বহর বেড়েই চলেছে ! এই নিয়েও কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রতিবাদ উঠেছে । অবশেষে সেই সংক্রান্ত বিল পাস হলো সংসদে। এই বিলটি হল মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন ভাতা ইত্যাদি সংক্রান্ত বিল।
সংবিধানের ১০৬ নম্বর ধারায় ভারতীয় আইনপ্রণেতাদের নির্দিষ্ট বেতনের কথা বলা হয়েছে৷ ১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে সংশোধন করেই এই বিল আনা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী সহ কতজন মন্ত্রী বেতন পাবেন, তা এই আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় । এবার এই বিল পাশ করিয়ে আগামী এক বছরের জন্য সাংসদ মন্ত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানো হল৷ রাজ্য সভায় পেশ হবে এই বিল৷ সেখানে অনুমোদন মিললেই ব্যবস্থাটি কার্যকর করা হবে ।
অবশ্য করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরের ২৫ মার্চ দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার পর এপ্রিল মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাংসদ ও মন্ত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ আপাতত এই বিল রাজ্য সভার অনুমোদন পেলে চলতি বছরের ১লা এপ্রিল থেকে আগামী এক বছরের জন্য এই বেতন কাটা হবে বলে জানানো হয়েছে৷
বর্তমানে মন্ত্রী, সাংসদরা এতদিন যে ৬০ হাজার টাকা করে অফিসের ব্যয় ভাতা পেতেন, এখান তা কমে হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা৷ এছাড়াও বেতন, ভাতা ও পেনশন (সংশোধিত) প্রভৃতি ক্ষেত্রেও একই হারে বেতন কাটা হবে । একই নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ামক ভাতা ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২,১০০ করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে নিয়ামক ভাতা ২ হাজার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে৷ একইভাবে প্রতিমন্ত্রী বা জুনিয়র মন্ত্রীদের নিয়ামক ভাতা কমে হয়েছে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা৷
এর বাইরেও সংসদে আরও একটি বিল পাশ হয়েছে । আপাতত আগামী দুই বছরের জন্য এলাকায় উন্নয়নের জন্য সাংসদদের উন্নয়ন তহবিল (এমপি ল্যাড) এর টাকা দু’বছর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । যদিও এই বিল নিয়ে বিরোধী দলের অনেকেই আপত্তি তুলেছিল, তবে অন্য বিলের সাথে এটিও ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গিয়েছে।