বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: কোহলি’র অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক গণমাধ্যমে। অস্ট্রেলিয়া’র মেলবোর্নে টেস্ট ম্যাচে রোহিত শর্মা’র সাথে করা অন্যায়ের কারণে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন বহু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, ক্ষুব্ধ হয়েছেন রোহিত শর্মা’র ভক্তরাও।
অস্ট্রেলিয়া’র মেলবোর্নে টেস্ট ম্যাচ চলছিল ভারতীয় ক্রিকেট বাহিনী। অসামান্য দক্ষতার সাথে অস্ট্রেলিয়া’র মাঠে প্রথমবার সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু সেই মুহূর্তেই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ইনিংস ঘোষণা করায় অধরা থেকে যায় রোহিতের সেঞ্চুরি। একারণে কোহলি’র ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রোহিত শর্মা নিজেও।
কোহলি’র সমালোচক’দের একাংশ দাবি করে, রোহিত যে ফর্মে খেলছিলেন, তাতে সেঞ্চুরি অবশ্যম্ভাবী ছিল। কিন্তু নিজের অহংবোধের কারণে ইনিংস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি, যা রীতিমত অন্যায় বলে দাবি করছেন তারা। একারণে অধিনায়ক বিরাট কোহলি’কে অনেকে হিংসুটে বলেও সমালোচনা করছেন।
মেলবোর্নের টেস্টে অবশ্য অনেকই রান করেছিলো ভারতীয় ক্রিকেট বাহিনী। চেতেশ্বর পুজারার সেঞ্চুরি, কোহলির ৮২ এবং রোহিতের অপরাজিত ৬৩ রানে ভর করে ৪৪৩ রান উঠেছিলো। তা স্বত্বেও কেউ কেউ বলছেন, আর একটু রান বাড়লে কিবা ক্ষতি হতো? বরং অস্ট্রেলিয়া’র মাঠে প্রথম সেঞ্চুরি পেতেন রোহিত শর্মা।
এপ্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সরব হয়েছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তিনি লিখেছেন, “অবাক করা সিদ্ধান্ত ভারতের। রোহিত উইকেটে থাকায় ভারত আরও ৫০ বা ৭৫ কিংবা তারও বেশি রান করতে পারত, যা পরে ব্যাটিংয়ে নেমে তোলা কঠিন হবে।”
Strange declaration from India. With Rohit there India could have got 50/75 runs or even more runs, runs which would be harder to get batting second. Made sense in getting them now.#AusvInd
— Sanjay Manjrekar (@sanjaymanjrekar) December 27, 2018
মাঞ্জরেকার এর এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। একজন সমর্থক লিখলেন, “দুর্বল অহংবোধের কারণে কোহলির এমন সিদ্ধান্ত। রোহিত শর্মা তখনও ক্রিজে ছিলেন। তারপরও কোহলির এমন সিদ্ধান্ত। বিরাট কোহলি, আপনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে সিদ্ধান্ত নিতে আপনি বরাবরই কাঁচা। এটা রীতিমত অন্যায়।” আরেকজন লিখেছেন, “৬৩ রানে অপরাজিত রোহিত শর্মা। এরপরও সন্দেহ হচ্ছিল। কেন কোহলিকে ইনিংস ঘোষণা করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আরও তো ছয়টা ওভার অপেক্ষা করা যেতো। কোহলিকে নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহর দেওয়া সেই বক্তব্যটা মনে পড়ে গেল।”