বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও শুরু হয়েছে ‘আনলক’ পর্যায় । করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়েই কাজে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই । করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে আশাবাদীও রয়েছেন সবাই । কিন্তু এবার সেই করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা।
সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যদি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েও থাকে তাহলেও সবাই তা নাও পেতে পারেন। কারন বর্তমানে শুধু ভারত নয়, গোটা পৃথিবীতে সবাই চাতক পাখির মত বসে আছে করোনা ভ্যাক্সিন আবিস্কারের পথ চেয়ে । তাঁর মতে, গোটা বিশ্বে মাস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগে যেতে পারে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বছর।
করোনা ভ্যাক্সিনের আবিস্কারের পরে যে চাহিদা তৈরি হবে, তাতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভ্যাকসিনের যোগানে কিছুটা হলেও ঘাটতি থাকবে বলে মনে করছেন সেরাম কর্তা। গোটা বিশ্বে জনসংখ্যার নিরিখে এই বিশাল সংখ্যায় কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদন করা খুবই সমস্যার ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই চলা লকডাউন দেশের অর্থনীতির অবস্থা বেহাল করেছে । টান পড়েছে মানুষের রুটি-রুজির । করোনা সংক্রমণের ভয় দূরে সরিয়ে ফের কাজে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন সবাই । কিন্তু ভারতের মত এত বিশাল সংখ্যার মানুষের কাছে করোনা ভ্যাক্সিন আবিস্কার এবং সেরাম পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন যদি করতেও পারে, তা পৌঁছে দিতে লেগে যাবে কয়েক বছর ।
সেরাম কর্তার মতে, ভারতে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়নি। ফলে ৪০০ মিলিয়ন মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছতে ২০২৪ সালের শেষ পর্যায় পৌঁছবে। অন্যদিকে মাথা পিছু করোনা ভ্যাক্সিনের দুটো ডোজ হিসাব করে তিনি জানান, গোটা বিশ্বে ১৫ বিলিয়ন ডোজ দরকার ।
করোনা ভ্যাক্সিন আবিস্কারের পথে সবচেয়ে বেশী আশা জাগানো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রায়াল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মানুষের ভয় কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছিল । এদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই ভারতে তৈরি করছে সেরাম। যে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর হিউম্যান ট্রায়াল চলছিল, তাঁদের মধ্যে একজনের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ট্রায়াল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় অক্সফোর্ড। পরে তা আবার চালু হয়।