বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দুনিয়াজোড়া করোনা আতঙ্কের মধ্যে বেশ খানিকটা আশার বাণী শোনা গেল জাপান থেকে । এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করেছে জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এমনটাই দাবী করে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে জাপানের অন্যতম ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যানজেস ।
জানা গেছে, জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের অন্যতম ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যানজেসের যৌথ উদ্যোগে করোনা প্রতিশেধকের ভ্যাকসিন বের করা সম্ভব হয়েছে । মঙ্গলবার অ্যানজেসের এক বিবৃতিতে করোনার প্রতিশেধকের ভ্যাকসিন তৈরি করার কথা দাবী করা হয়েছে । জাপানের ওসাকা শহরে অবস্থিত অ্যানজেস কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং তা শিগগিরই প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করা শুরু হবে।
এদিকে জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যয়নরত বাংলাদেশের নাগরিক নাদিম মাহমুদ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে আমাদের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র ১৯ দিনের প্রচেষ্টায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাঞ্জেস কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি হলো। ভ্যাকসিনটি তৈরির পর এখন অপেক্ষা কেবল প্রাণীর দেহে পরীক্ষার।
https://www.facebook.com/Nadim09/posts/3457713837588859
তিনি আরো লিখেছেন, মূলত করোনা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য শরীরে ‘এক টুকরা ডিএনএ (প্লাজমিড) শরীরে প্রবেশ করানো হবে, সেখান থেকে তৈরি হওয়া প্রোটিন পরবর্তীতে ইমোনাইজড হয়ে নভেল করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেবে। জাপানের প্রভাবশালী ঔষধ কোম্পানি তাকারা ভ্যাকসিনটি বাজারজাতকরণের দায়িত্ব নিয়েছে। ফুজি ফি্লম হোল্ডিং কর্পোরেশনের ‘Avigan’ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকারী ঔষধের পর এটি একটি ভাল খবর বটে। আশা করি, এই ভ্যাকসিন শিগগির বিশ্বে প্রাণ সংহার কমিয়ে আনবে।
এই ঘটনাটি কতখানি সত্যি সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করার পর জানা যাবে । তবে যদি সত্যি জাপানের ওসাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে থাকে, তাহলে বলা যেতে পারে মানুষের মধ্যে আবারও প্রানের সঞ্চার হবে ।