বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ মনে করা হচ্ছে, বাস্তবে পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয়, এই তত্ত্ব যতই স্বাস্থ্য মন্ত্রক বোঝানোর চেষ্টা করুক না কেন, প্রতিদিন যেভাবে লাগাম ছাড়া সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশার বাণী সাধারন মানুষের মনে আর সাহস জোগাতে পারছে না । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন গ্রুপ অফ মিনিস্টারদের বৈঠকে জানিয়েছেন দেশে এখনও করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়নি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে । অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এই মুহূর্তে হয়ত কোন কোন জায়গায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । যদিও লাগাম ছাড়া সংক্রমণ, একদিনের নিরিখে সর্বোচ্চ আক্রান্ত, এই সব পরিসংখ্যান পাওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছুটা নিশ্চিন্তেই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন গ্রুপ অফ মিনিস্টারদের বৈঠকে সেই কথা অস্বীকার করে জানালেন এখনও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, দেশের মশ্যে কিছু কিছু এলাকায় বেশি মাত্রায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কোনও খবর নেই। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন । অবশ্য সাধারন মানুষকে আরও সতর্ক থাকার কথা জানাতে ভোলেননি । যদিও খুব দ্রুত ভারত গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ।
এদিকে গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক । স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৯৬। দেশে করোনায় মৃত বেড়ে ২১ হাজার ১২৯। এই মুহূর্তে শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র । এদিকে রাজধানী দিল্লি এবং মুম্বইতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন আইসিএমআর এর প্রাক্তন কর্তা ।
এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে যাচ্ছে যে, রাজ্য সরকার হটস্পটগুলি চিহ্নিত করে আগামী সাত দিনের জন্য কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছেন । সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলায় । গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে প্রকাশিত করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০৮৮, যা এ যাবত কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ।