গতকাল বৃহস্পতিবার জগদ্দলে নতুন থানা উদ্বোধন উপলক্ষে পুলিশ এবং দুষ্কৃতী দের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । দুষ্কৃতীরা মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা এবং ইট বৃষ্টি করে থানার উপরে । পুলিশ এবং দুষ্কৃতী দের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময় চলে । বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন, গুলিতে নিহত হন দুইজন সাধারণ মানুষ । আহত হন বেশ কয়েকজন । আজ শুক্রবারও সেই ঘটনার জেরে কাকিনাড়া বাজার চত্বর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে । নবান্ন থেকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে সব কিছু । তবুও কাকিনারা, ভাটপাড়্ জগদ্দলকে শান্ত করা যাচ্ছে না ।
গতকাল ঘটনার পরেই রাতেই ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং দিল্লি থেকে বলেন, “ পুলিশ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে নিরীহ মানুষদের খুন করছে । আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর আকারে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব । নন্দীগ্রামের ধাঁচে আন্দোলন শুরু হবে । এই পুলিশের জুলুম চলবে না” ।
অর্জুন সিং এর বক্তব্য পরেই উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আজকের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সম্পর্ক নেই । আমাদের একটাও লোক ভাটপাড়ায় নেই । এলাকা শান্ত করার জন্য পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে । পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি । ওরা নিজেরাই বন্দুক বোমা নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেছে । ওখানে আমাদের কর্মীরা মারা গেলেও বলেছে বিজেপির মারা গেছে । পুলিশ এলাকায় শান্তি ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে” ।
এই ঘটনা সম্পর্কে ভাটপাড়া পুরসভার বিজেপি পৌর প্রধান সৌরভ সিং বলেন, “ব্যারাকপুরে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরের নির্দেশে সাধারণ নিরীহ মানুষের উপর গুলি চালানো হয়েছে । রামবাবু সাউ নামে যে ব্যক্তি মারা গেছেন সে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে । ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে এই গুলি চালিয়েছে । ওর বদলি না হলে, এখানে অশান্তি আরো বাড়বে । এতদিন পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছিল এখন সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলছে” ।