কাট মানি নিয়ে বাজার এখন সরগরম । কোথাও না কোথাও খবর আসছে কাট মানি নিয়ে । কোথাও ঘেরাও হচ্ছে, কোথাও মুচলেকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও বা বাড়িতে হামলা হচ্ছে । এবার প্রায় 3 লক্ষ টাকা কাট মানি নিয়ে অভিযুক্ত হলেন মন্ত্রী রেজ্জাকের পুত্র মোস্তাক আহমেদ ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জমি রেকর্ড করার জন্য দু’দফায় তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন তিনি । তার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে । উল্লেখ্য ভাঙ্গড়ের বৈরাম পুর মৌজায় একটি জমি আলতু ও পান্না নামে দুই ব্যাক্তি এল আর রেকর্ড করাতে না পেরে মোস্তাক আহমেদের দ্বারস্থ হন । সেই সময় মোস্তাক আহমেদ তাদের বলেছিলেন, ওই জমির দাম অনেক । তাই ওই জমির এল আর রেকর্ড করাতে গেলে 5 লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে । সেইমতো তারা দুজন মন্ত্রীপুত্র মোস্তাককে দুই দফায় তিন লক্ষ টাকা দেন ।
কিন্তু মূল অভিযোগ, টাকা পেয়েও এল আর রেকর্ড করে দেননি মোস্তাক আহমেদ । অবশেষে কাজ না হওয়ায় তারা মন্ত্রীপুত্র-এর কাছে টাকা ফেরত চান । কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে তাদের দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকেন এবং নানান ভাবে হুমকিও দিতে থাকেন মন্ত্রিপুত্র । এরপর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন আলতু ও পান্না । পুলিশ মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ।
এদিকে আরাবুলের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে হাতিশালায় মন্ত্রী পত্তের পুত্রের দলীয় কার্যালয় হামলা করার অভিযোগ উঠেছে । অবশ্য আরাবুল এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মানুষ মোস্তাকের এই কাট মানি নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ।
তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহল এর খবর প্রকৃতপক্ষে একই দলের হলেও রেজ্জাক মোল্লা এবং আরাবুল ইসলামের মধ্যকার সম্পর্ক অনেকটা আদায়-কাঁচকলায় । সে ক্ষেত্রে মন্ত্রীপুত্রর বিরুদ্ধে কাট মানির অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ।
মোস্তাক আহমেদের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে । আসলে আমি এই এলাকায় হিডকোর মাটি চুরি, জলাভূমি বিক্রিসহ বিভিন্ন বেআইনি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি প্রশাসনকে জানিয়ে । সেই রাগেই ওরা আমার বদনাম করতে এই সব মিথ্যা অভিযোগ করছে ।” এছাড়া তিনি আরো বলেন, ” এই দুই প্রোমোটারকে কয়েক বছর আগে সাউথ সিটি প্রজেক্টে তোলাবাজি করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল । সুতরাং এলাকার মানুষ জানেন ওরা কেমন মানুষ এবং কি ধরনের কাজ কর্মের সাথে যুক্ত” ।