গত ২৩শে মে তারিখে ভারতের ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পুনরায় দিল্লী’র সিংহাসনে বসতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি-র দলনেতা নরেন্দ্র মোদী। আজ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা’য় প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী। উক্ত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ (দেশে উপস্থিত না থাকার কারণে অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারছেননা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। একইসাথে ভারতবর্ষের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী’রাও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।
বিরোধী দলভুক্ত হলেও সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে মোদী’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর কার্য্যনির্বাহী ভবন ‘নবান্ন’ থেকে জানানো হয় যে ৩০শে মে নরেন্দ্র মোদী’র শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
কিন্তু এরপর আরেক নতুন জটিলতা দানা বাঁধল। নির্বাচনে জয়লাভ করার উদ্দেশ্যে ভারতের সকল দল’গুলিই নিজেদের প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে মেতে উঠেছিলো, একইসাথে বিরোধী দলকেও হেনস্থা করতে ছাড়েনি, একথা আমাদের সকলের জানা। একইরকম ভাবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে বিবাদ দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বি জে পি দলের মধ্যে। সংঘর্ষের ফলে অনেকসময়ই দুই দলেরই বহু দলকর্মী এবং সমর্থক আহত হয়েছে বারংবার। এরপর সম্প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টি দাবি করে যে রাজনৈতিক হিংসার ফলস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গে তাদের ৫৪ জন কর্মীকে খুন করা হয়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলের দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় একথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন যে রাজনৈতিক রেষারেষি পশ্চিমবঙ্গে কোনও খুন’ই হয়নি।
৩০শে মে সন্ধ্যায় মোদী’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সেই ৫৪ কর্মী’র পরিবার উপস্থিত থাকবে বলে ঘোষণা করা হয় বি জে পি দলের পক্ষ থেকে। একথা জানার পর অসন্তুষ্ট হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তারপর তিনি নিজেই ট্যুইটারে জানান যে ৩০শে মে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকছেননা।
The oath-taking ceremony is an august occasion to celebrate democracy, not one that should be devalued by any political party pic.twitter.com/Mznq0xN11Q
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 29, 2019