বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপরে হামলার অভিযোগ, সিএএ, এনআরসি সহ একাধিক ইস্যুর জন্য বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভ মিছিল হবার কথা ছিল সিপিএম এবং সংখ্যালঘু কিছু সংগঠনের । কিন্তু কর্ণাটক সরকার বৃহস্পতিবার থেকে বেঙ্গালুরুতে জারি করল ১৪৪ ধারা ।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সারা দেশ জুড়ে চলছে উত্তেজনা । বিশেষ করে সংখ্যা লঘু সংগঠন এবং বাম ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল করছে । কোথাও কোথাও বিক্ষোভ মিছিল উত্তেজিত হয়ে হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটাচ্ছে । এ মত অবস্থায় আগামীকাল কর্ণাটকে সিপিএম এবং রাজ্যের সংখ্যালঘু ছাত্র সংগঠনগুলি বনধের ডাক দিয়েছিল । উত্তেজনা বৃদ্ধি না পাওয়ার জন্য কর্ণাটক সরকার কারফিউ জারি করল ।
কারফিউ প্রসঙ্গে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমরা কোনও ধরনের হিংসা চাই না। যে কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কারফিউ জারি করা হল।’ বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও জানিয়েছেন, “১৪৪ ধারা আগামী তিন দিনের জন্য জারি থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে চালু হয়ে চলবে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত অবধি।” সরকারীভাবে কারফিউ জারি করায় আগামী কাল থেকে সোমবার পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে কোন প্রকার মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না । কারন ১৪৪ ধারা জারি হলে সেখানে ৫ জনের বেশী কেউ জমায়েত হতে পারবে না একসাথে ।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি আবহ ক্রমশ উতপ্ত হয়ে উঠছে । গত সোমবার থেকেই রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব আইন এবং এন আর সি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন । আজ উত্তর দিনাজপুরে নাগরিকত্ব বিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর কে বা কারা বোমা নিক্ষেপ করেছে । সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি এখন বেশ উতপ্ত হয়ে আছে । আগামী কাল সরকারীভাবে ১৪৪ ধারা জারি করে মিছিল সমাবেশ বন্ধ করায় বেঙ্গালুরুর পরিবেশ আবার গরম হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল ।