বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গত মাসের ১৫ তারিখ ভারতীয় এবং চীনা সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী হাতাহাতিতে শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান । তারপর থেকে বারবার আলাপ আলোচনা চললেও পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে । এদিকে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত বরাবর চীনের সেনারা ছাউনি, বাংকার বানিয়েছে । কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে সম্প্রতি ধরা পড়েছে যে জায়গায় ছাউনি করা হয়েছিল সেটি জলের তলায় । আপাতত চীনের সেনা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে ।
দুই দেশের সেনাদের হাতাহাতির পর বারংবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসেছে । কিন্তু পরিস্থিতি কোনভাবেই ঠাণ্ডা হবার লক্ষন নেই । এদিকে লাদাখ থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে গত ৫ মে থেকে বৈঠক চলছে ভারত ও চিনের। প্রাথমিক এই বৈঠকে ওই এলাকা থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়েছিল দু’দেশই। কিন্তু গত ১৫ জুন হঠাৎ করেই ভারতীয় সেনার উপর হামলা করে চিনের সেনারা । গত কয়েক দিন ধরেই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ছিল গালওয়ান উপত্যকা বরাবর ছাউনি ও বাঙ্কার তৈরি করছে চিনা সেনা। গালওয়ান নদীর পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ছাউনি বানিয়ে ছিল তারা। কিন্তু হঠাৎ করে গালওয়ান নদী বরফ গলা জলে ফুলে ফেপে ওঠে । জল ছাপিয়ে যায় চীনা ছাউনির উপর দিয়ে ।
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানা গেছে গালওয়ান উপত্যকা বরাবর চীন মোতায়েন করেছিল অতিরিক্ত সেনা। কিন্তু সম্প্রতি সেই এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে চিনা সেনা। কারণ গালওয়ান নদীতে জল বাড়ায় তার দু’পাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপগ্রহ চিত্র ও ড্রোন থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, গালওয়ান নদীর পাশে তৈরি করা চিনা সেনার তাঁবু বন্যার জলে ধুয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিনা সেনার সেখানে থাকা কোনও মতেই সম্ভব নয় বলে সেনা সূত্রে খবর। কারণ পাহাড়ি এলাকার নদীতে বন্যা হলে মুহূর্তের জলোচ্ছ্বাসে সবকিছু ধুয়ে-মুছে যেতে পারে। তাই এই মুহূর্তে পিছু হটতে হবে চিনের সেনাবাহিনীকে।
তবে সীমান্তে চীনা সেনারা জমায়েত হলেও ভারতও কোনভাবে চুপচাপ বসে নেই । ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে । লাদাখের আকাশে চীনকে কড়া বার্তা দিতে উড়ছে যুদ্ধ বিমান । তালিকায় আছে সুখোই-৩০ এমকেআই ও মিগ-২৯ । অ্যাটাক চপার অ্যাপাচে ও চিনুকও তৈরি রয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেহ ও লাদাখে গিয়ে সেনার মনোবলও বাড়িয়েছেন।